ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ (Raju Jha) খুনের ঘটনায় সিবিআইকে (CBI) তদন্তভার দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তদন্ত শেষের সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত। ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত। ১৬ সপ্তাহ পরে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা করতে হবে।
খুনের সময় রাজুর গাড়িতে আবদুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি ছিল। আবার তাঁর নাম রয়েছে কয়লা পাচার মামলার চার্জশিটে। ফলে কয়লা পাচার ও এই খুনের মধ্যে যোগ রয়েছে বলে মনে করছে আদালত। তাই রাজ্যকে দ্রুত কেস ডায়েরি-সহ যাবতীয় নথি সিবিআই এসিবি ও অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের এসপিকে হস্তান্তর করতে হবে। সিবিআই তদন্ত করে ৪ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
বিচারপতি মনে করছেন, রাজু ঝাঁ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কয়লা পাচারের মামলার কোনও যোগসূত্র রয়েছে। চার দশক ধরে কয়লা পাচার একটা বড় ইস্যু। তাই এই খুনের মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে না গেলে, কয়লা পাচার তদন্তও ধাক্কা খাবে। মামলার তদন্তভার হাতে নিতে রাজি সিবিআই, আদালতে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল। বিচারপতির সংযোজন, কোনও অভিযুক্ত মনে করে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে থাকলে তাঁর সুবিধা। কেউ ভাবে তদন্ত রাজ্যের হাতে থাকলে তাঁর সুবিধা।
গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দুষ্কৃতীরা গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় রাজু ঝাকে। নীল গাড়িতে চেপে এসে কাজ সেরে আবার ওই গাড়িতেই চম্পট দেয় শার্প শুটাররা। সেই গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফও। তদন্তের জন্য সিট গড়েছিল রাজ্য পুলিশ। তবে এবার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.