গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। বিস্ফোরক দাবি তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রতি তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চ? লিখিতভাবে এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই তিনি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, গত মাস দুই ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর দেওয়া চারটি সিবিআই (CBI)অনুসন্ধানের মামলার রায়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সমস্ত মামলার নথিপত্র দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে। একইসঙ্গে এক আইনজীবীর মন্তব্য ”কথা হয়ে গেছে, স্টে হয়ে যাবে” – এই বক্তব্যের রেকর্ডিং বের করা হোক ভারচুয়াল শুনানির রেকর্ড থেকে। বিচার করা হোক গোটা বিষয়টি। একইসঙ্গে লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানান, তাঁর কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী এসে এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। তাঁর জবাব ছিল, ”তাঁর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেছি, আমাকে মাফ করবেন।”
এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তাঁর দেওয়া নির্দেশের পালটা সিল খাম খোলা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, সেই বিতর্কেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.