ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: এসএফআই নেত্রী সুচরিতা দাসের উপর নির্যাতনের মামলায় আইপিএস মুরলীধর শর্মার রিপোর্ট জমা পড়েছে হাই কোর্টে। সেই রিপোর্ট দেখে বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি নিজে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছেন। অন্য একটি মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে পশ্চিম মেদিনীপুর মহিলা থানা পুনর্গঠন করার কথা বলেছেন বিচারপতি ঘোষ।
এদিন একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্যকে কড়া ভাষায় মেদিনীপুর মহিলা থানা পুনর্গঠন করতে বলেছেন তিনি। বিচারপতির মন্তব্য, “থানা ঠিক নয়, ডিজিকে বলুন ব্যবস্থা নিতে। নাহলে আমি কড়া নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” তাঁর আরও মন্তব্য, “সিসিটিভি ফুটেজ আমি দেখেছি। নির্যাতনের প্রমাণ আছে। কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করে অত্যাচার করা, উল্লসিত হওয়া চলতে পারে না। ওই থানা পুনর্গঠন করতে বলুন।” এরপরই সেই দিনের ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এজিকে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, “আইজিপিকে সম্পূর্ণ ফুটেজ দেওয়া হয়নি। ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। চার ঘণ্টার দেওয়া হয়নি কেন? চুলের মুঠিও বা ধরা হয়েছিল কেন? থানায় মোম দেখা গিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এজি জানান, “থানায় কাগজ সিল করা, মশার ধূপ জ্বালানোর জন্য মোম ছিল।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে নজিরবিহীন অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মেদিনীপুর কলেজও। সেখানকার বাম ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ছাত্রীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। দুই ছাত্রীকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে মোম ঢেলে দেওয়া ও চুলের মুঠি ধরা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সুচরিতা দাস, সুশ্রীতা সরেন। সেই মামলার শুনানিতে তদন্তভার আইজি (প্রশিক্ষণ), মুরলীধর শর্মার হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্তব্য করল আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.