Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় স্বস্তি ছত্রধর মাহাতোর, খারিজ যাবজ্জীবন সাজা

বেকসুর খালাস করা হয়ছে রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে।

Calcutta HC commutes Chatradhar Mahato's life sentence
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 14, 2019 12:24 pm
  • Updated:August 14, 2019 12:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্রধর মাহাতোর যাবজ্জীবন কারদণ্ডের সাজা রদ করল কলকাতা হাই কোর্ট। কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে তাঁর সাজ করা হল ১০ বছর। একই সঙ্গে সাজার মেয়াদ কমানো হল মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় অপরাধী সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেন, সগুন মুর্মুর। বেকসুর খালাস করা হয়ছে রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে।

এক দশক আগে ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়  জঙ্গলমহলে পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা জনসাধারণের কমিটির প্রধান মুখ ছত্রধর মাহাতো ও তাঁর সঙ্গীদের। বুধবার বন্দিদের মুক্তির আরজিতে দায়ের মামলায় রায় দেয় বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। রামগড় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া-সহ প্রায় ৩৫টি মামলা চলছে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে।  তার অনেকগুলিতে অবশ্য জামিন পেয়েছেন ছত্রধর। ছত্রধর, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেন, সগুন মুর্মু, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়দের মুক্তির আরজিতে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী শেখর বসু। সরকারপক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং পিপি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন।

Advertisement

২০০৯-এ গ্রেপ্তারের পর ২০১৫-র মে মাসে মেদিনীপুরের দায়রা আদালত ছত্রধরদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বাম আমলে গ্রেপ্তার এবং কমিটির নেতা-সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীরা। ‘সাজানো মামলা’ থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি উঠেছে। রাজ্যে পালাবদলের পরেও অবশ্য মুক্তি মেলেনি। দণ্ডদানে একাধিক ভুলের দিকে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বন্দিদের আইনজীবীরা। সরকারপক্ষকেও মানতে হয়েছে, কিছু বাড়াবাড়ি হয়েছে। সওয়াল-জবাব পেরিয়ে আজ চূড়ান্ত রায়দান করে আদালত। ইতিমধ্যে এক সহবন্দি রঞ্জিত মুর্মু জেলেই মারা গিয়েছেন।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement