শুভঙ্কর বসু: গান্ধী আরউইন চুক্তি কবে হয়েছিল? ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে (এসএলএসটি) এমনই এক ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর ভুল। প্রশ্নে দেওয়া উত্তরের অপশনের একটিও সঠিক নয়। কলকাতা হাই কোর্টে বৃহস্পতিবার একথা স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফলত যে সমস্ত পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নের উত্তর লিখতে চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের এবার পুরো নম্বর দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর ববি সরাফ।
[অসুস্থ খুদেদের ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিলেন সান্তা ওবামা]
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। ওই বছর ইতিহাস বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএলএসটি-র আয়োজন করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যে পরীক্ষায় ৪০ নম্বর প্রশ্ন ছিল ‘গান্ধী আরউইন চুক্তি কবে হয়েছিল?’ কিন্তু পরীক্ষার্থীরা লক্ষ করেন ওই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হওয়ার কথা ১৯৩১ সালের ৫ মার্চ। অথচ সম্ভাব্য উত্তরের তালিকায় সঠিক উত্তরটি নেই। এমন ঐতিহাসিক ঘটনার সঠিক উত্তর খুঁজে না পেয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হন পরীক্ষার্থীরা। অথচ করার কিছু ছিল না।
অবশেষে এসএসসির ওই উত্তরপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮-র আগস্টে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নীতীশ সরকার-সহ আরও বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। বিচারপতি শেখর ববি সরাফের এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি প্রশ্ন তোলেন, “গান্ধী আরউইন চুক্তি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এমনকী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবেই পরিচিত। শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় এমন একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর কীভাবে ছাপা হল?” এর পর এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র এজলাসে দাঁড়িয়ে ওই প্রশ্নের উত্তর ভুলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “ওই প্রশ্নে এসএসসির উত্তর ভুল ছিল।” এরপরই এসএসসি কর্তৃপক্ষকে ওই ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি শেখর ববি সরাফ। এদিন নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীরা ওই ভূল প্রশ্নের জন্য এক নম্বর পাবেন। শুধু তাই নয়, ওই নম্বর যোগ করে যদি দেখা যায়, নিয়োগের তালিকার সর্বশেষ প্রার্থীর চেয়েও বেশি নম্বর পেয়েছেন মামলাকারী সেক্ষেত্রে এসএসসিকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে। ফলত হাই কোর্টের এদিনের নির্দেশে বেশ বেকায়দায় পড়ে গেল এসএসসি কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.