গোবিন্দ রায়: ফের বিপাকে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য! অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কিনা, তা জানতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, এবছর কোন পদ্ধতিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হচ্ছে, তাও তাঁকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। আগামী ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্যের আমলেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউর অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়। মূলত নিয়োগ প্রার্থীরা চক পেনসিল, ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে দেখান কীভাবে পড়াবেন। এটি বাধ্যতামূলক। এর জন্য আলাদা নম্বর রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিন মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। এমনকী, অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকলে, সেই বিভাগের নম্বর প্রদান কী ভাবে করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীর আইনজীবীরা। তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, আরও একটি মামলায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। পরীক্ষার ৮ বছরের প্রকাশ করা হয়নি ফলাফল। এই অভিযোগের শাস্তিস্বরূপ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High School)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে জরিমানার অর্থ, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.