Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta HC

শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত কতদিনে, জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট

বদলির আবেদন জানানোর কত দিনে পর্ষদ বিবেচনা করবে? প্রশ্ন তুলল আদালত।

Calcutta HC asks about transfer of teachers

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 18, 2024 10:45 am
  • Updated:July 18, 2024 1:28 pm

গোবিন্দ রায়: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনে বদলির আবেদন জানানোর জায়গা, রাজ্যের ‘উৎসশ্রী পোর্টাল’ বন্ধ থাকায় সম্প্রতি অফলাইনে বদলির আবেদনে মান্যতা দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত এক মামলায় এবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অফলাইনে বদলির আবেদন জানাতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। কিন্তু এই বদলির আবেদন জানানোর কত দিনে পর্ষদ তা বিবেচনা করবে? কতদিনেই বা আবেদনকারীদের বদলি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে? – এবার সেই প্রশ্নই তুলল আদালত।

এক শিক্ষিকার আপোষ বদলির আবেদন মামলায় এনিয়ে পর্ষদের কি গাইডলাইন রয়েছে, সময়সীমাও বা কী, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর নির্দেশ, একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা পর্ষদের কাছে বদলির আবেদন জানানোর কত দিনে তাঁকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়, তা গাইডলাইন-সহ পর্ষদকে জানাতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘যা বলেছেন ধ্রুব সত্য’, ‘সব কা সাথ’ বাতিল ইস্যুতে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেন তথাগত]

মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, “সম্প্রতি প্রাথমিকের মামলাগুলি শুনছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর এজলাসে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষক বদলি সবই বিচার্য ছিল। সেসময় দীর্ঘদিন ‘উৎসশ্রী পোর্টাল’ বন্ধ থাকায় অফলাইনে বদলির আবেদনে আইনি বৈধতা দেন বিচারপতি মান্থা।” আইনজীবী আরও জানান, “পুতুল সিট নামে পুরুলিয়ার এক শিক্ষিকা ২ জুলাই পর্ষদের কাছে আপোষ বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এপর্যন্ত ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্তই তাঁকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।”

Advertisement

যদিও আদালতে পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানান, “এ বিষয়ে বিবেচনার জন্য পর্ষদকে যথাযথ সময় দেওয়া হয়নি। পর্ষদকে সেই সময় দেওয়া হলে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।” তার প্রেক্ষিতেই এই বদলির সময়সীমা নিয়ে পর্ষদের কাছে কি গাইডলাইন রয়েছে তা জানতে চায় আদালত। আইনজীবী জানান, “এই বিবেচনার জন্য পর্ষদের নির্দিষ্ট কোন ‘টাইম লিমিট’ নেই।” তার প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, “কোনও সময়সীমা বা গাইডলাইন না থাকলে কত দিনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এভাবে হয়রানির শিকার হবেন!” তাই পর্ষদের কাছে সময়সীমা সহ গাইডলাইন তলব করে, প্রয়োজনে নিজেদের ওয়েব সাইটে সিদ্ধান্ত জানানোর পরামর্শ দিয়েছে আদালত। ২৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।

[আরও পড়ুন: পুলিশকে গুলি করে পগার পার, অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলির ‘এল চাপো’ সাদ্দাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ