ছবি: প্রতীকী।
গোবিন্দ রায়: রাজ্যের পুরসভাগুলিতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি বাবদ বকেয়া লক্ষ লক্ষ টাকা। তা মেটানো বিশাল ব্যয়বহুল ব্যাপার। বহরমপুর পুরসভা (Berhampur Municipal Corporation) এই নিয়ে মামলা করলেও এর প্রভাব গোটা রাজ্যের বহু পুরসভার ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। কিন্তু গ্র্যাচুইটির টাকা রাজ্য দেবে, না কি পুরসভা – এই আইনি প্রশ্নের আগে বিহিত হওয়া দরকার বলে মনে করছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় এমনই মতপ্রকাশ করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পুরকর্মীদের এই বকেয়া কীভাবে মেটানো হবে? কে-ই বা তা মেটাবে? এসব রূপরেখা তৈরির জন্য আইনজীবী সারোয়ার জাহানকে আদালত-বান্ধব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এবং তা করেছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চই। ২০ জুনের মধ্যে তাঁকে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে নিজের পর্যবেক্ষণ, মতামত জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
শ’পাঁচেক অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মী প্রাপ্য গ্র্যাচুয়িটি (Gratuity) পাচ্ছেন না। এঁদের মধ্যেই কয়েকজন মামলা করেছেন। কিন্তু বাকিদের বকেয়া মেটানোর মতো অর্থ পুরসভার ভাঁড়ারে নেই। তাই ওই টাকা রাজ্যের কাছ থেকে আদায় করতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বহরমপুর পুরসভা। রাজ্য আদালতে জানায়, পেনশনের ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য। আর নিয়ম অনুযায়ী, গ্র্যাচুইটি পেনশনের অংশ বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী। এরপরেই আদালত এই ইস্যু ঘিরে বৃহত্তর স্বার্থে আইনি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার উদ্যোগ নেয়।
বহরমপুর পুরসভার আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, ”আমরাও চাই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য পান। ২০১৮ সালে প্রশাসক পুরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেশ কিছু কর্মীর বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কয়েকশো কর্মীর প্রাপ্য মেটাতে যে পরিমাণ টাকা লাগবে, তার জন্যই রাজ্যের সাহায্য চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে।” আগামী ২০ তারিখ এই মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.