শুভঙ্কর বসু: করোনা (Coronavirus) কালে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে নিয়মিত আয় হয়নি বহু পরিবারের। এই অবস্থায় বেসরকারি স্কুলে পড়া সন্তানদের স্কুল ফি দিতে প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছেন অনেকেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ফি কমানোর জন্য বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ না হওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এ নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। আর আজ মামলার রায়ে অভিভাবকদের স্বস্তি দিয়ে আদালত জানাল, ২০ শতাংশ ফি কমাতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলোকে। টিউশন ফি ছাড়া অন্য সমস্ত ফি সম্পূর্ণ মকুব করতে হবে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য রায়দান করতে গিয়ে আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। স্কুলের ২০ শতাংশ ফি মকুব করার পর বাকি ৮০ শতাংশ ফি দিতেও অসুবিধার মুখে পড়তে পারেন অনেকে। তাঁদের কথা ভেবে বিচারপতিরা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এই কমিটির কাছে অভিভাবকরা আবেদন জানাতে পারবেন। সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন কমিটির সদস্যরা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপের সময়সীমা ধার্য করেছে হাই কোর্ট।
দীর্ঘ লকডাউনের জেরে আর্থি সমস্যার মুখোমুখি হয়ে অনেক অভিভাবক বেসরকারি স্কুলগুলোর চড়া ফি কিছুটা কমানোর আবেদন জানান। রাজ্য সরকারের তরফেও বেসরকারি স্কুলগুলির কাছে ফি মকুবের অনুরোধ করা হয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়েরের পর আদালত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দেয় স্কুলের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখার জন্য। ফি কমানো হলে স্কুলগুলির কতটা সমস্যা হতে পারে, তার আঁচ পেতেই এই পদক্ষেপ ছিল। এতে বিশেষ কোনও সুরাহা না হওয়ায় হাই কোর্ট স্কুলগুলির কাছেই প্রস্তাব চেয়ে পাঠায়। সেসব প্রস্তাব থেকে তিনটি প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে তার ভিত্তিতে আজকের রায়দান।
বেসরকারি স্কুলগুলিতে অন্তত ২০ শতাংশ ফি মকুব করা হলে, অভিভাবকদের উপর আর্থিক বোঝা কিছুটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে কলকাতা হাই কোর্টের আজকের রায় তাঁদের জন্য স্বস্তিদায়কই হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.