রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও গোবিন্দ রায়: সীমান্তের ওপারে নিপীড়িত হিন্দুরা। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় সভা করবে এপারের সনাতনীরা। এমনই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে এই সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংগঠনটি। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলেছে।
৫ ডিসেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘খোলা হাওয়া’ নামে এক সংগঠন। সূত্রের দাবি, বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত ঘনিষ্ঠ এই সংগঠন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সভার অনুমতি দেন। তবে একাধিক শর্তও চাপান। বিচারপতি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে। অবস্থান বিক্ষোভ, সভা বা মিছিল যাই হোক না কেন সেখান থেকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা সরকারি কর্মীদের উপর কোনওরকম হামলার ঘটনা ঘটলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
সভা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রোহিঙ্গায় ভরে গিয়েছে। সব স্টোর করছি। এনআইএকে দেব। আমি যদি হিন্দুর বাচ্চা হই এদের তাড়াব। আগামী পরশু রাসমণি রোডে সনাতনীদের সমাবেশ হবে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতমনের পর থেকেই সে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। এর মধ্যেই বন্দরনগর চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া ধ্বজা টাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ও ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি সকলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগেই গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে। ওই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। সেই প্রতিবাদের আঁচ এপারেও পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.