অভিরূপ দাস: কয়েক হাজার কেজি খেজুর। ফেলতে হবে ধাপায়! চিন্তায় পুরসভা। আপাতত সেই খেজুর কন্টেনার বন্দি। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তরকে চিঠি লিখেছেন কন্টেনারের মালিক। “অনুমতি দিন।” পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, একবারে সর্বোচ্চ ১০ টন বা ১০ হাজার কিলোগ্রাম খেজুর ফেলা যেতে পারে। তাও তা ফেলতে হবে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে।
কেন এমন? পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে খবর, এর আগে নষ্ট হয়ে যাওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি চিংড়িমাছ ফেলা হয়েছিল ধাপায়। সে সময় আশপাশের প্রান্তিক এলাকার মানুষরা সেই চিংড়ি মাছ নিয়ে গিয়েছিলেন। রান্না করে খেয়ে গণ-ডায়েরিয়া দেখা গিয়েছিল। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনওভাবেই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। ধরে নিচ্ছি, ওই খেজুর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন তা ফেলতে হবে ধাপার ময়লার পাহাড়ের মাথায়। যেখানে আমজনতা নাগাল পাবে না।
ঝুঁকি এড়াতে তাই কড়া পুলিশি নিরাপত্তা চাইছে পুরসভা। কোথা থেকে এল এত খেজুর? পুরসভার আধিকারিকদের অনুমান, কোনও কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ওই বিপুল পরিমাণ খেজুর। আপাতত তাই ফেলে দিতে চাইছেন ব্যবসায়ী। এত পরিমাণে নষ্ট হয়ে যাওয়া দ্রব্য ফেলে দিতে গেলে একমাত্র জায়গা ধাপার মাঠ। ধাপায় প্রায় ৬০ একর জায়গাজুড়ে স্তূপীকৃত বর্জ্যের পরিমাণ চল্লিশ লক্ষ টনের মতো। এর মধ্যে বায়োরিমিডিয়েশন-এর মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হয়েছে অনেকটা পরিমাণ বর্জ্যের।
পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১০ হাজার কিলোগ্রামের বেশি খেজুর নিয়ে আসতে গেলে ধাপার রাস্তা বসে যেতে পারে। ময়লার পাহাড়ের মাথায় ফেলতে গেলে যে রাস্তা দিয়ে ধাপার জঞ্জালের স্তূপে আসতে হবে তার অতিরিক্ত ভার বহনের ক্ষমতা নেই। আপাতত তাই পালটা চিঠি দিয়েছে পুরসভা। কন্টেনার মালিকের কাছে তারা জানতে চায় ঠিক কতটা খেজুর রয়েছে। তেমন হলে প্রয়োজনে ধাপে ধাপে খেজুর ফেলার বন্দোবস্ত করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.