অর্ণব আইচ: দিনদুপুরে শহরে অটোয় করে অপহরণ। তারপর টাকা আদায় করতে মানিকতলার এক গুদামে আটকে রেখে ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। তারপর বেদম প্রহারে অসুস্থ ব্যবসায়ীকে ছেড়ে পালায় অপহরণকারীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আহত ব্যক্তি ভরতি আর জি কর হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে উত্তম তালুকদার নামে ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে তারই পরিজন গৌতম তালুকদার, সুমিত তালুকদার ও তার বন্ধু স্বর্ণিল ঘোষ। অভিযুক্তরাও ব্যবসায়ী। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী উল্টোডাঙার জে এম লেনের বাসিন্দা। তাঁর বড় মুদির দোকান আছে। অভিযুক্তরা তাঁকে জিনিসপত্র সরবরাহ করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু জিনিসপত্র দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর টাকা বাকি রাখতেন ওই ব্যবসায়ী। প্রায় চার লক্ষ টাকা দিচ্ছিলেন না ওই ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, সেই কারণেই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ছক কষে। মানিকতলার একটি গুদামে তাঁকে আটকে রাখার ছক কষে অভিযুক্তরা। সেইমতো তাঁর দোকানের সামনে এসে অভিযুক্তরা টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকার করেন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে দিনের বেলায় জোর করে একটি অটোয় তোলা হয়। অটোয় করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকতলার একটি গুদামঘরে। সেখানে তাঁকে লাঠি ও রড দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁকে অনেকক্ষণ সেখানে আটকেও রাখা হয়।
কিন্তু মার খেয়ে ব্যবসায়ীর শরীরের অবস্থায় অবনতি হয়। যখন অভিযুক্তরা বুঝতে পারেন বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে, তখন তাঁকে অটো করে বাড়ির কাছে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রহৃত ব্যবসায়ী কোনওক্রমে বাড়ি পৌঁছন। পরিবারের লোকেরা তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে ভরতি করেন। একদিন ভরতি থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে লেকটাউন ও মানিকতলা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জেরা করা হয়। এই অপহরণের পিছনে আরও কেউ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.