‘সন্ত্রাসদমন শাখা’র অফিসার পরিচয়ে অপহরণ।
অর্ণব আইচ: নাটের গুরু মামার বন্ধু। জাঁক করে তিনি মামার সেই বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যবসা তুঙ্গে উঠেছে। নেপালজুড়ে তাঁর ৮০০ কোটি টাকা খাটছে!
শুনেই মামার বন্ধু তপন সাহা নিউ আলিপুরের ব্যবসায়ী অরিন্দম ধরকে অপহরণ করে ২০০ কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষে। তাই রাজা দত্তর মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার কুখ্যাত তোলাবাজ তথা দাগি দুষ্কৃতীকে দলে টানে তপন। কথা হয়, মুক্তিপণের ৪০ শতাংশ টাকা পাবে তপন। বাকিটা পাবে অন্য ৯ জন। সেই অনুযায়ী অপহরণকারীরা পুলিশ ও সেনাদের পোশাক এবং হাতকড়া জোগাড় করে। বুধবার দুপুরে বাটানগর থেকে জিঞ্জিরাবাজার সেতুর উপর গুলি চালিয়ে অরিন্দমবাবু ও তাঁর তিন সঙ্গীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের সময় নিজেদের লালবাজারের ‘সন্ত্রাসদমন শাখা’র অফিসার বলে পরিচয় দেয়।
[ আরও পড়ুন: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যু ক্যানসারে! নয়া তথ্য পুরসভার নথিতে ]
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তপন ৬ মাসের জন্য নেপালের একটি ক্যাসিনোয় চাকরি করত। ব্যবসায়ী অরিন্দমবাবু অনেককেই বলেছিলেন যে, নেপালের বিভিন্ন ব্যবসায় তাঁর ৮০০ কোটি টাকা খাটছে। তা শুনেই তপন অপহরণের ছক কষে। অপহরণের পর অপহরণকারীরা ২০০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাইলে তিনি বলেন, এখন তাঁর কাছে টাকা নেই। অফিসে গেলে তিনি ২০ লাখ টাকা দিতে পারবেন। অপহরণকারীরা তাঁকে নিয়ে নিউ আলিপুরে যায়। অফিসের ভিতরে গিয়ে তাঁকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। অপহরণকারীরা ইতস্তত করলে বুদ্ধি করেই অরিন্দম বলেন, ভিতরে মাত্র একজন কর্মচারী আছেন। এ ছাড়া তাঁর আঙুলের ছাপ না হলে ভল্ট খোলে না। লোভে পড়ে চার অপহরণকারী ভিতরে গিয়ে দেখে, ভিতরে আটজন কর্মচারী রয়েছেন। ব্যবসায়ী সতর্ক করামাত্রই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখনই অফিসের মধ্যে এক দুষ্কৃতী গুলি চালায়।
বৃহস্পতিবার ধৃত পাঁচজনকে আদালতে তোলা হলে তাদের ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তাদের জেরা করে বাকি অপহরণকারীদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ আরও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন হরিতকী গাছ প্রতিস্থাপন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.