Advertisement
Advertisement

Breaking News

Disel

জ্বালানির জ্বালা ও ফিট সার্টিফিকেটের জোড়া ফলা! একের পর এক বন্ধ হচ্ছে বহু রুটের বাস

চিন্তায় বাস মালিকেরা।

Bus of Many routes are being closed due to rising fuel prices and lack of fit certificates | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 29, 2022 12:19 pm
  • Updated:March 29, 2022 12:19 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধ হয়ে গিয়েছে মুকুন্দপুর থেকে হাওড়া ২৪এ/১ রুট। বন্ধ ফলতা-বাবুঘাট ৮৩ নম্বর রুট। প্রায় বন্ধের দিকে এগোচ্ছে বাঘাযতীন-হাওড়া ১৭, এসডি৪ ঠাকুরপুকুর-যাদবপুর-সহ একাধিক রুট। একদিকে তেলের দাম, অন্যদিকে বেশিরভাগ গাড়িরই ফিট সার্টিফিকেট না থাকা। তেল-সিএফের এই জোড়া ফলাতেই অফরুট একের পর এক রুটের বাস। বাড়তি ভাড়া নিয়েও তাঁদের যে বিশেষ লাভ হচ্ছে না, তা এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন অধিকাংশ মালিকই। তাঁদের বক্তব্য, তেলের দাম তো রয়েইছে, সবথেকে সমস্যা হচ্ছে গাড়ির সিএফ না থাকা। যে কারণেই ২৪এ/১-এর মতো জনপ্রিয় রুটের বাসও বসে গেল দিনকয়েক ধরে। কারণ হাজার-হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে এখন কোনও মালিকই আর বাসের সিএফ করাবেন না।

বসে যাওয়া গাড়ি রাস্তায় নামাতে সিএফে জরিমানায় ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত গাড়ির সিএফ ফেল আছে, তারা এককালীন দেড় হাজার টাকা দিয়েই গাড়ির সিএফ করিয়ে নিতে পারেন। জরিমানা দিতে হবে না। কিন্তু মন্ত্রী সেকথা বললেও এই ছাড়ের বিষয়ে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি বেরোয়নি বলে জানান বাসমালিকরা। তাই ছাড়ও মেলেনি। যে কারণেই বহু জনপ্রিয় রুটেও গাড়ি বসে যাচ্ছে। আর তাতেই এখন পরিবহণশিল্পে অশনি সংকেত দেখছেন বাসমালিকরা। তাঁদের দাবি, যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, তাতে ডিজেলও একশো টাকা শীঘ্রই ছাড়াবে, তখন আর রাস্তায় বাস বের করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া জরিমানার পরিমাণও এতটাই বেড়েছে যে, কেউ ঝুঁকি নিয়ে বাস নামাবেন না। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাগাতার হামলার জের, ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার]

মোটর ভেহিক্যালস দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, যেদিন থেকে গাড়ির সিএফ ফেল সেদিন থেকে জরিমানা ধার্য হবে। প্রতিদিন ৫০ টাকা করে বাড়বে। সঙ্গে সিএফ ফি বাবদ ৮৪০ টাকা। দেখা যাচ্ছে কোনও গাড়ি চার বছর আগে শেষবার সিএফ করিয়েছিল অর্থাৎ যদি জরিমানা মকুব না হয় তবে সেই গাড়ির সিএফ করাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি টাকা জরিমানাই দিতে হবে। সরকার তাই বাসকে রাস্তায় নামাতে সেই জরিমানা মকুব করে দেড় হাজার টাকায় সিএফ করানোর কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তা এখনও শুরু হয়নি। তাই একের পর এক বাস অফরুট হয়ে যাচ্ছে। ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। গাড়ি না পেয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে তাঁদের।

সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, “সিএফ ফেল গাড়ির জরিমানা এখন দশ হাজার টাকা। বহু গাড়িরই সিএফ নেই, তারা তাই ঝুঁকি নিয়ে বাস বের করছে না।” জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকার বলল দেড় হাজার টাকায় গাড়ির সিএফ করিয়ে দেওয়া হবে। জরিমানা দিতে হবে না। কিন্তু কিছুই তো হল না।”

[আরও পড়ুন: অর্থাভাবে বন্ধ চিকিৎসা, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে শিকলে বেঁধেছেন বাবা-মা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement