Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে মিলল না সমাধান, পুজোতে টালা ব্রিজে বন্ধ বাস চলাচল

নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের৷

Bus movement not possible on Tala Bridge un Puja: Mamata
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 1, 2019 3:17 pm
  • Updated:October 1, 2019 3:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মধ্যে কোনও ভাবেই টালা ব্রিজে বাস চালানো সম্ভবপর নয়৷ বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার৷ মঙ্গলবার নবান্নে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিযোগের সুরে তিনি বললেন, টালা ব্রিজের জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে আগেই রেলকে জানান হয়েছে৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷

[ আরও পড়ুন: বাংলায় রাবণের সর্বোচ্চ কুশপুতল পোড়াবে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদ ]

Advertisement

টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে মঙ্গলবার নবান্নে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই বৈঠক থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ তবে এই পুজোয় টালা ব্রিজের উপর দিয়ে কোনওভাবেই বাস চালানো সম্ভবপর নয়৷ রাইটসের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে সরকার৷ আপত্তি মেনে নিয়েই আমরা টালা ব্রিজে বাস চালাবো না। এজন্য রাস্তার বিকল্প ম্যাপ দেবে পুলিশ।’’ পাশাপাশি রেলের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, টালা ব্রিজের খারাপ অবস্থা নিয়ে আগেও রাজ্যের তরফে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ জানা গিয়েছে, টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আগামী ৩ অক্টোবর আবারও ব্রিজ পরিদর্শনে যাবে বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ এরপর ১২ অক্টোবর ফের বৈঠক হবে৷ এবং সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

[ আরও পড়ুন: গালিচায় উষ্ণতা ছড়াবে পুরুষকুল, দুর্গা আরাধনার আবহে ব্যতিক্রমী ব়্যাম্প শো ]

সোমবার পুজো উদ্বোধনে গিয়েই প্রশাসনের অসহায়তা ও বাধ্যবাধকতার কথা শোনান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এতদিন দেখেনি কেন? এখন আমি কী করব, সব ভেঙে দেব একসঙ্গে? লোকে যাবে কী করে? সরকারের তো কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। ইঞ্জিনিয়ারদের দেখতে বলা হচ্ছে কীভাবে সব আস্তে আস্তে করা যায়। আবার রেখে দিলে লোক মরলে আমায় বলবে। আমি কী করতে পারি? ৭০ বছর আগে সব করে গিয়েছে। নজর দেয়নি। কোনও মেকানিজম নেই। কাগজ পাওয়া যায় না।” অন্যদিকে পুজোর মুখে টালা ব্রিজের মতো ব্যস্ততম সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা৷ সরকারি-বেসরকারি বাসের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে দারুণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছতে সাধারণভাবে যা সময় লাগত, তার দ্বিগুণের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। উত্তর ও মধ্য কলকাতায় তীব্র যানজটও হয়েছে। মেট্রো রেলের টিকিট কাউন্টারেও মারাত্মক ভিড়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement