রমেন দাস: ‘স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা’ আজ! দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee) । নিজের হাতে থাকা লাল পতাকা বর্তমানের ‘ফেসবুকীয়’ সিপিএমকে তিনি দিয়ে গিয়েছেন কি দেননি, এ প্রশ্নের অবতারণা মুহুর্মুহু হলেও বঙ্গের ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’ রেখে গিয়েছেন স্মৃতি। ইতিহাসের বালুচরে এঁকে দিয়েছেন একাধিক আঁচড়ের দাগ-ও!
আসলে বুদ্ধবাবু মরেই যেন প্রমাণ করেছেন তিনি মরেননি! যুবসমাজ, এযুগের বাঙালির ‘ভাল মানুষ’ পর্বের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে দিয়েছেন ভিন্ন ব্যক্তিত্ব! ক্ষমতায় থাকার সময়ে যে বুদ্ধদেব সমালোচনায় বিদ্ধ হতেন বারবার। সেই তিনিই হয়ে উঠেছেন বাংলার বর্তমান মসীহা! নেটাগরিকদের একাংশের কাছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বহুল মুখ্যমন্ত্রীও! একমাথা সাদা চুল, ধবধবে সাদা ধুতি, ফতুয়ার কালো দাগহীন বিরাজে সেই বুদ্ধই যেন হয়ে উঠেছেন পূর্ণিমার বঙ্গ-চাঁদ! তাঁর না থাকায় একাধিক অভাব খুঁজে পেয়েছে জনতা। রাজ্যের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকে, অভাবে নুইয়ে পড়েছেন বহু।
কিন্তু এই বুদ্ধদেব অর্থাৎ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপোকে নিয়ে বারবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে মমতাময় (Mamata Banerjee) বিরোধিতা অস্ত্রে বারবার ফালাফালা হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাপসী মালিক ধর্ষণ থেকে বারাসতের রাজীব দাস হত্যাকাণ্ড! রাজ্যের সমস্ত খারাপের নেপথ্যে বিদ্ধ হতে হয়েছে বুদ্ধদেবকে। বর্তমানের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’র এই উৎকৃষ্ট উদাহরণই সেদিন হয়েছিলেন চুনকালিময় পাথর! কেন বলছি একথা?
অনেকেই বলেন, জ্যোতি বসুর জীবনে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Budhhadev Bhattacharya) নিজের উত্তরসূরি হিসেবে বাছা! আবার কেউ কেউ দাবি করেন, প্রমোদ দাশগুপ্তের পছন্দের বুদ্ধ ‘অনিলায়নে’র ভাঙনে সক্রিয় ছিলেন বরাবর! তাই নাকি বামেদের অন্দরে খুব একটা পছন্দের পাত্র ছিলেন না সংস্কৃতিপ্রেমী বুদ্ধদেব। সত্যিই কি তাই?
সাহিত্যচর্চা এবং রাজনীতির পরিসরের ভারসাম্য ততদিনে শিখে গিয়েছেন বুদ্ধ। জ্যোতি বসুদের ‘খাদ্য আন্দোলনে’র বহর ছাড়িয়ে পাকাপাকি রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটেছে তাঁর। প্রেসিডেন্সি কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বুদ্ধের বিস্তার ঘটেছে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে। পূর্ববঙ্গের সন্তানের কলকাতা যাপনে ততদিনে সঙ্গী হয়েছেন কার্ল মার্ক্স (Karl Marx) । ১৯৬৬ নাগাদ সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদ। তারপর ১৯৭৭ সাল, কাশিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়লেন বুদ্ধদেব। সেই শুরু! একে একে সাধারণ বিধায়ক থেকে রাজ্যের মন্ত্রী। তীব্র কঠিন সিপিএম সংগঠনেও ফের প্রভাব বাড়তে শুরু করল তাঁর।
এরপর রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী থেকে শুরু করে জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যের প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী। বারংবার প্রমোশন পেলেন প্রমোদ-প্রিয় বুদ্ধ। জ্যোতির হাত থেকে পতাকা গেল তাঁর হাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বুদ্ধদেব। ‘বুদ্ধ পারবে, ও বদলে গিয়েছে অনেক!’ রাজনীতির প্রবীণ অলিন্দে কান পাতলে জ্যোতির মন্তব্যের পাহাড়ে টিম টিম করে আজও জ্বলে এই শব্দবন্ধ। অনেকেই বলেন, বুদ্ধ পেরেছেন, রাজ্যের ভোল বদলে সিদ্ধার্থশংকর রায়ের পর ছাপ রেখেছেন তিনি। কিন্তু বিতর্ক?
নয়ের দশক। দাবি, জ্যোতি বসুর সঙ্গে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয় বুদ্ধদেবের। জ্যোতির ‘প্রিয় বুদ্ধ’ আচমকা বলে বসলেন ‘চোরেদের মন্ত্রিসভায় থাকব না!’ বিতর্ক হল বিস্তর। জ্যোতি-বুদ্ধ এবং সিপিএমের মিলিত দ্বন্দ্বে শোরগোল পড়ল মুহূর্তেই। কিন্তু অবশেষে মিটল সব। ১৯৮২-র পরের ৫ বছরের জনপ্রতিনিধি না থাকা জীবনের মতো আর বেশিদিন একাকী থাকতে হল না বুদ্ধকে। দলের একাংশের মদতে আবারও স্বমহিমায় ফিরলেন তিনি।
কিন্তু সম্পর্ক? রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে সেইভাবে নথিবদ্ধ না থাকলেও রাজনৈতিক আলোচনায় এখনও উঠে আসে সেই সময়ের কথা। লেখক বুদ্ধের ‘অতি সংস্কৃতিপ্রেম’ নাকি তখন মানতে পারতেন না অনেকেই। দল কিংবা জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভা (Jyoti Basu Cabinet), সব ক্ষেত্রেই খানিকটা সমালোচনার মুখে পড়তে হত বুদ্ধদেবকে।
জ্যোতি বিদায়ের পর দল এবং সরকারে সর্বময় হয়ে উঠেছিলেন বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)। সেখানেও সুখ ছিল না তাঁর জীবনে! সুভাষ চক্রবর্তী থেকে রেজ্জাক মোল্লা। বারবার ‘হেলে ধরতে পারেন না কেউটে ধরতে’ যাওয়ার চেষ্টার তকমা জুটেছে সাদা ধুতির গায়ে। সরকারে, দলের অভ্যন্তরে নিজের লোকের সামনেই পর্যুদস্ত হয়েছেন বুদ্ধদেব। যা বেড়েছে ফের। বুদ্ধ-বদনামের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বিস্ফারিত হয়েছে বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
২০০০ সালের নভেম্বর। সবেমাত্র রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘বুদ্ধযুগ’! তার ঠিক কয়েক বছরের মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের অভিযোগ। আজকের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের বদনাম সেদিনও জুটেছিল বুদ্ধ প্রশাসনের কপালে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র সর্বাধিক মৃত্যুর ইতিহাস ছুঁয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০০৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও প্রশ্ন উঠেছিল বারবার। বাড়ি বাড়ি সাদা থান সংস্কৃতির ফের সূচনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই। কিন্তু সব ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন অনন্য।
‘আমরা ২৩৫, ওরা ৩০!’ ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে ছেয়ে গিয়েছিল এই পোস্টার। মমতার দল তৃণমূলের তীব্র বিরোধিতার আঙিনায় উঠে এসেছিল বুদ্ধের ‘অহমিকাময়’ মন্তব্য। ‘সাধের নন্দনে’ বসে সময় কাটানোর অপবাদেও বিদ্ধ হতে হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে।
কিন্তু বুদ্ধদেবের ‘ইমেজ’, ‘ব্র্যান্ড’ সর্বাধিক ধাক্কা খায় ২০০৬ সালে। রাজ্যে শিল্প আনার কথা ভাবেন তিনি। কিন্তু হাইওয়ের পাশের বিরাট জমি অধিগ্রহণে বাধে বিপত্তি। উর্বর জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে বেকায়দায় পড়েন বুদ্ধদেবরা। টাটা গোষ্ঠীর হাতে নষ্ট হচ্ছে কৃষক স্বার্থ, এই অভিযোগে ততদিনে দানা বেঁধেছে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আন্দোলন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিপদ বেড়েছে বুদ্ধদেবের! কৃষক বিরোধী শাসক হিসেবে ততদিনে প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি।
যদিও আর ‘ইমেজে’ কালি লাগাতে চাননি বুদ্ধদেব। পুলিশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগের মধ্যেই নতুন করে ব্যবস্থা নেননি রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী! একাধিক বার দলের বহু নেতার প্রস্তাবেও মমতার বিরুদ্ধে জ্যোতিসুলভ পদক্ষেপ করেননি তিনি। সহ্য করেছেন! বিরোধী নেত্রীর তীব্র আন্দোলনে মহাকরণ কেঁপে উঠলেও ধীর-স্থির গতিতে এগিয়েছেন বুদ্ধদেব। পরে সুপ্রিম কোর্টেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বুদ্ধ ইচ্ছা।
হয়ত ‘পরিণত’ বুদ্ধের বদনাম-ইতিহাসে শনির দৃষ্টি ছিল ওই সময়! সিঙ্গুরের আবহেই সাড়া দেয় তখন নন্দীগ্রামও। কেমিক্যাল হাব। জমি অধিগ্রহণ। পুলিশ দিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে বিদ্ধ বুদ্ধদেব সরকার তখন বেকায়দায়। কিন্তু সেখানেই মস্তবড় ‘ভুল’টা করে বসে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সেদিন। তাপসী মালিকের ধর্ষণ, নন্দীগ্রামে গুলি! তপন-সুকুর! লক্ষ্মণ শেঠ! সুশান্ত ঘোষ! মজিদ মাস্টার – একের পর এক রাজনৈতিক অস্বস্তিতে ততদিনে ‘রক্তের দাগ’ লেগেছে বুদ্ধের সাদা ধুতিতেও! অপমানিত, অপদস্ত তির ভালো মানুষ বুদ্ধদেবের খোলসে ঘা মেরেছে সেদিন। রাজ্যের বিশিষ্টজনের একাংশও সরব হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে। অশান্ত হয়েছে রাজ্য। শঙ্খ ঘোষদের প্রতিবাদী শব্দে ভরে গিয়েছেন বুদ্ধদেব। রাজ্যের বিরোধিতার শিখরে পা দিয়েছেন তিনি। সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সব মিটেছে অবশেষে। একদা ‘প্রতিবাদী’রাই মোহিত হয়েছেন বুদ্ধের জাদুতে। সেকালের তীব্র প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা যায়, রাজ্যের সেরা ‘সৎ রাজনীতিক’ তিনি।
একদিন দিকে দিকে স্লোগান উঠেছে ‘বুদ্ধের কালো হাত গুড়িয়ে দাও ভেঙে দাও!’ স্টেশন থেকে রাজপথ, বুদ্ধের ফর্সা গালে রক্তের দাগ মাখা প্রতিকৃতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র! একদা যে মানুষটির উপরে ভরসা করেছিল রাজ্যের অগণিত মানুষ! সেই তিনিই বিরোধী রাজনীতিতে লুণ্ঠিত হয়েছেন আচমকা। আক্রমণের তিরে লাখো লাখো মানুষের অভিশাপের কেন্দ্রে যেন নিমজ্জিত হয়েছেন বুদ্ধ!
লালগড়। শালবনি। মাওবাদ। কিষেণজী। ছত্রধরদের সহযোগে ততদিনে অশান্ত হয়েছে রাজ্য। রক্তাক্ত হয়েছে জঙ্গলমহল। পিছিয়ে পড়া ‘আদিবাসীদের উপর অত্যাচারে’র প্রতিবাদে একের পর এক বিক্ষোভে কেঁপেছে বাংলা। সিপিএম নেতা খুন থেকে শুরু করে অনুজ পাণ্ডেদের বাড়ি ধংস! ক্রমশ রাজ্যের কালো ইতিহাসের সাক্ষী হতে হয়েছে এই মুখ্যমন্ত্রীকেই। মাত্র এক দশকের মুখ্যমন্ত্রিত্বেই বুদ্ধদেবের প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত হতে হয়েছে বারবার।
কলকাতার রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যুও নাড়িয়ে দিয়েছিল বুদ্ধদেবের সরকারকে। কলকাতা পুলিশের আধিকারিক বাপী সেন হত্যা থেকে শুরু করে বুদ্ধ প্রশাসনের গাত্রে গাত্রে একাধিক বদনাম ছড়িয়েছে নিরন্তর। জনসংযোগেও খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন তিনি, এই অভিযোগেও বিদ্ধ হতে হয়েছে তাঁকে।
২০১১ সাল। ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন বুদ্ধদেব। রাজনৈতিক লড়াইয়ে বিজয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন যেন হেরে গিয়েই অবশেষে পিছিয়ে যান বুদ্ধদেব। ২০১২ সাল থেকেই নিজেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করেন কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা। তবে আবারও ফেরেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বিবৃতি রাজনীতিতে’ দাঁড়িয়েই ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। একদা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট তৈরিতে ভূমিকা নেন তিনি। এখানেও বদনামের ভাগীদার হন বুদ্ধদেব! দলের সঙ্গে কথা না বলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়ানো নিয়েও দলে বেকায়দায় পড়েন তিনি। কয়েক বছর আগে অশক্ত শরীরে পা দেন ব্রিগেড সমাবেশের মাঠে। কিন্তু মঞ্চে উঠতে পারেননি আর! জীবন পথেও ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি বুদ্ধদেব। সংক্রমণ আর দুর্বল শরীরে চেষ্টা করেও ঘরের আইসিইউয়ে বন্দি হয়েছে তিনি। ক্রমশ নুইয়ে পড়েছেন রোগের ভারে! তবুও একাধিক বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু এখানেই বদলেছে প্রেক্ষাপট। ২০০৭ থেকে ২০১১, যে সময়কালে একটা বড় অংশের মানুষের কাছে বদনামের উপজীব্য ছিলেন বুদ্ধদেব! সেই মানুষটিই নিজের অনুপস্থিতে ‘ভাইরাল’ হয়েছেন বারবার। তাঁর বলা একাধিক কথা, স্বপ্নচারণা বারবার ফেরি হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যুব সিপিএম তো বটেই বুদ্ধের একের পর এক সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে নিরন্তর! একাধিক অভিধায় ভূষিত হয়েছেন বুদ্ধদেব। একটা সময় শিক্ষিত, মার্জিত যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ ভেসে আসত বঙ্গ আকাশের একাংশে। সেই মুখ্যমন্ত্রীই বর্তমান আবহে হয়েছেন উঠলেন অনন্য। অভিনব। মৌলিক!
কিন্তু কেন? এর উত্তরে কেউ কেউ বলেন, রাজ্যের আর এক মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের কথা (Bidhan Chandra Roy)। যিনি নাকি বলতেন, ‘আমি মরার পর লোক বলবে লোকটি বড্ড ভাল ছিল গো! আর কিছুদিন থাকতে পারত!’ বুদ্ধ নেই, বিতর্কের দাগ পুড়ে ছাই হয়েছে মুহূর্তেই। তিনি গিয়েছেন, একাধিক প্রশ্নের আবহেই যেন বলে দিয়েছেন, ‘সঠিক ছিলাম আমি, তোমরা সবাই ভুল ছিলে না তো?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.