রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় : আগামী ৩ এপ্রিল ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির জনসভা উপলক্ষ্যে চলছে বিশেষ প্রস্তুতি৷ আনা হয়েছে প্রায় আঠারোটি জার্মান অ্যালুমিনিয়ামের হ্যাঙার। ব্রিগেডের প্রায় ২৫ লক্ষ বর্গ ফুট এলাকা ঢাকছে এই হ্যাঙারে। উপরে থাকছে আলুমিনিয়ামের চাদর। তিনটি করে রো হবে। প্রতি রো-তে ছ’টি করে হ্যাঙার থাকবে। ভিড়ের চাপে যাতে অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে না পড়ে। মেদিনীপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই ব্রিগেড মোদির জনসভায় হ্যাঙারের ব্যবস্থা।
আগামী ৩ তারিখ একইদিনে শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির জনসভা। এই দুটি জনসভা দিয়েই বাংলায় ভোট প্রচার শুরু করছেন মোদি। শিলিগুড়ির পাশাপাশি ব্রিগেডের সভাতে রেকর্ড জমায়েত করে নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের পালে জোর হাওয়া তুলতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। একইদিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দুটি সভা হওয়ায় ব্রিগেড ভরানোর সাহসী চ্যালেঞ্জও নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, যেহেতু শিলিগুড়িতে আলাদা সভা মোদির। তাই দক্ষিণবঙ্গের কর্মী, সমর্থকদের দিয়েই ভরাতে হবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অবশ্য বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক ব্রিগেড হবে। জন সমুদ্রের চেহারা নেবে ব্রিগেড।’ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘আট থেকে দশ লক্ষ লোক হবে ব্রিগেডে। শিলিগুড়ির সভাও মিনি ব্রিগেড হয়ে যাবে৷’
শিলিগুড়ির সভা অবশ্য হচ্ছে, জলপাইগুড়ি স্টেশনের পিছনে রেল ময়দানে। এদিকে ব্রিগেডের সভায় যেহেতু উত্তরবঙ্গ থেকে লোক আসছে না, তাই স্টেশনে ক্যাম্প করা বা রাতে থাকার ব্যবস্থা করার বিশেষ দরকার নেই। দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘মানুষ আসবেন। মোদিজির ভাষণ শুনে চলে যাবেন।’ ব্রিগেডের সভায় ভিক্টোরিয়ার দিকে পিছন করে হচ্ছে মূল মঞ্চ। মূল মঞ্চ ৬০ বাই ৩২ ফুট। আরও দুটি ছোট মঞ্চ থাকছে ৪০ বাই ২০ ফুটের। মূল বড় মঞ্চে থাকবেন মোদি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, বাবুল সুপ্রিয়, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাশের একটি মঞ্চে দলের দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার প্রার্থীরা। অন্য ছোট মঞ্চটিতে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনটি মঞ্চ তিন রকমভাবে সাজানো হচ্ছে।
শনিবার ব্রিগেড পরিদর্শন করে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ। এদিকে, ব্রিগেডের সভার প্রস্তুতিতে জেলায় জেলায় মিটিং করছে বিজেপি নেতৃত্ব। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে বেশি জমায়েতের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ব্রিগেডের সভায় অন্য দল থেকে হেভিওয়েট কারও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন। তবে সেই সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রে খবর।ব্রিগেড পরিদর্শনের পর শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘রাজ্যে অরাজকতা চলছে। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হয়েছে। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জনতাই তৃণমূলকে এবার এসবের জবাব দেবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.