সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শপিং মলে স্তন্যদান করতে গিয়ে তীব্র হেনস্তা হতে হয়েছিল এক ‘মা’কে। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি তিনি। ঘটনার প্রতিবাদের সরব হয়েছিলেন। অবশেষে তাঁর সেই লড়াই স্বীকৃতি পেল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে শহরের সমস্ত শপিং মলে বাধ্যতামূলকভাবে স্তন্যদান কক্ষ রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। মল কর্তৃপক্ষ এ কাজে কাউকে বাধা দিতে পারবে না।
ঘটনা গত বছরের ২৮ নভেম্বরের। দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি মলে সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিলাষা পাল। বাচ্চার খিদে পেতেই তাকে স্তন্যদান করাতে যান তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রকাশ্যে এভাবে শিশুকে স্তন্যদান করানো যাবে না। তাঁকে শৌচালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও স্তন্যদানে বাধা পান তিনি। অবশেষে অভুক্ত সন্তানকে নিয়েই মল ছাড়তে হয় অভিলাষাকে। এমন ঘটনায় অত্যন্ত অপমানিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন তিনি। গোটা ঘটনার কথা তুলে ধরে মল কর্তৃপক্ষের নিন্দায় সরব হন অভিলাষা পাল। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সাউথ সিটি কর্তৃপক্ষের। উলটে তারা বিষয়টিকে তুচ্ছ ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। তখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে অভিলাষা পালের কাছে ক্ষমা চায় কর্তৃপক্ষ। এমনকী, এও বলা হয়, ওই মলে স্তন্যদানের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে সে খবর তখন দেয়নি। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না নয়, তার জন্যই নয়া পদক্ষেপ নিলেন মেয়র।
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত প্রতিটি শপিং মলে স্তন্যদানের জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে। যেসব মলে ইতিমধ্যেই সে ব্যবস্থা আছে ভাল, নাহলে দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ এবার থেকে শপিং মলে স্তন্যদান কক্ষ রাখা বাধ্যতামূলক বলেই ঘোষণা মেয়রের। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে খুশি অভিলাষা পাল। তিনি বলেন, আর অন্তত এমন ঘটনা কারও সঙ্গে ঘটবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.