সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বরাবরই সরব রাজ্যের শাসকদল। নেতা-মন্ত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানাভাবে সুর চড়িয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রাজ্যপাল তথা আচার্য মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বেড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) কখনও তাঁকে ‘জেমস বন্ড’, কখনও ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে তুলনা করেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ‘সাদা হাতি’, ‘রাজার কবি’র মতো কটাক্ষ। শনিবার ধর্মতলায় তৃণমূল শিক্ষা সেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে এসব শব্দেই রাজ্যপালের সমালোচনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল পদের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। শিক্ষামন্ত্রীকে পালটা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবার ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বসু ক্ষমতা কুক্ষিগত নিয়ে নাম না করে নিশানা করলেন রাজ্যপাল (Governor) পদটিকে। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সাদা হাতির মতো পদ তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রয়োজনে। কিন্তু এখন সেই পদ রাখার কী যৌক্তিকতা আছে? ওই পদে থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন। এটা কবিদের স্থান। রাজভবনেও এক কবি বসে আছেন। কিন্তু তিনি কুমোরের কবি নন, কামারের কবি নন, তিনি রাজার কবি।” এমনকী পদটি বিলোপেরও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দমদম বিমানবন্দরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী জীবনে কোনওদিন কাউকে সম্মান করেছেন? প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে কাকে কী বলেন, ঠিক নেই। সেই জন্য মান-সম্মানের কথা বলবেন না। কাজের কথা বলুন। আপনারা কাজ করতে জানেন না, আপনারা ধমকে চমকে কাজ করাতে চাইছেন। রাজ্যপাল ওই মাটির মানুষ নন। আর ওনার গায়ের রং তো সাদা নয়, কেন সাদা হাতি বলা হচ্ছে, আমি জানি না। রাজ্যপালকে ওনারা ভেবেছিলেন রাবার স্ট্যাম্প করবেন। যে রকম বাকিদের করে নেন। কিন্তু এখানে সেটা হবে না। উনি যথেষ্ট কর্মদক্ষ মানুষ। বহু জায়গায় কাজ করেছেন। এরকম মন্ত্রী-শান্ত্রী পকেটে নিয়ে উনি ঘুরেছেন। ওনাকে হালকা বলে যেন না মনে করে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.