সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে নতুন করে বিতর্ক উসকেছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর কলেজের চাকরি নিয়ে। কোনও পরীক্ষা না দিয়ে বাম আমলে স্রেফ সুপারিশের জন্যই কলেজে গ্রুপ সি’র চাকরি করেছিলেন ৩৪ বছর ধরে। মোটা অঙ্কের বেতনও পেতেন। কলেজে তাঁর যোগদানের নথি টুইট করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)এই অভিযোগ সামনে আনেন। তার পালটা সিপিএম নেতাও জবাব দিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, যোগদানপত্র কীভাবে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়ার প্রামাণ্য নথি হয়? এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর দাবি, ”কী ঘটেছে, ঠিক জানা নেই। এর তদন্ত হওয়া দরকার।”
শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু। গোড়া থেকে তিনি সিপিএমের (CPM) বিরুদ্ধে কার্যত খড়গহস্ত হয়ে ওঠেন। সিপিএমকে ‘কুৎসাকারী’ বলে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। তাঁর কথায়, ”সিপিএমের মূল বৈশিষ্ট্যই হল, কাজ না করে বড় বড় কথা বলা, কুৎসা করা। তাঁদের এই কুৎসার তালিকাটা দীর্ঘ – প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু আমি বলতে চাই, কুৎসা করার আগে সবটা দেখেবুঝে নিন। আর নিয়োগে দুর্নীতি শুরু বাম আমল থেকেই।”
এরপর তিনি বলেন, ”যাঁর চাকরি নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তাঁকে আমি চিনি না। টুইট সামনে না এলে জানতাম না যে উনি এভাবে এত বছর চাকরি করেছেন। ১৯৭৯ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশন তৈরি হয়। তখন গ্রুপ সি (Group C) ও গ্রুপ ডি’র (Group D) আওতায় ছিল না। তাই উনি (মিলি ভট্টাচার্য) পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। এর তদন্ত হতেই পারে।”
তবে এনিয়ে তদন্ত নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত করতে হবে কি না, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করব। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন, আমার কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছ কেন, তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’ গত ১২-১৩ বছর ধরে কেন এই নিয়ে মুখ খোলেনি বর্তমান সরকার, সেই কারণও জানিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘উনি অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে। এই সরকারের বেতন এবং পেনশন নিয়েছেন।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.