Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tapas Roy

দল ছাড়ার জল্পনার মাঝেই মানভঞ্জনের উদ্যোগ, তাপস রায়ের বাড়িতে ব্রাত্য-কুণাল

আজই তাপস রায়ের যাওয়ার কথা বিধানসভায়। তৃণমূল ছাড়তে চান তাপস রায়, তাঁকে বোঝাতে দফায় দফায় যোগাযোগ করে চলেছেন দলের নেতারা।

Bratya Basu and Kunal Ghosh reaches Tapas Roy residence
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 4, 2024 11:11 am
  • Updated:March 4, 2024 12:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কলকাতার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের মতানৈক্যের বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এসেছে। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। তাঁর সেই ক্ষোভের পারদ এতটাই চড়েছে যে ঘনিষ্ঠ মহলে এই জল্পনা তুঙ্গে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পথে পা বাড়াচ্ছেন তাপসবাবু। মঙ্গলবারের মধ্যেই দলত্যাগ করতে চলেছেন তিনি। এই আবহে দলের বিক্ষুব্ধ নেতার মানভঞ্জনে উদ্যোগী নেতৃত্বের আরেকাংশ। সোমবার সকালে তাপস রায়ের বাড়িতে গেলেন দলের দুই নেতা ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ। তাপসবাবুর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও তাতে বরফ গলল কি না, তা বোঝা সময়ের অপেক্ষামাত্র।

বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের মূল ক্ষোভ উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, তাপস রায়কে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হতে পারে, এই সম্ভাবনা উসকে ওঠার পর ষড়য্ন্ত্র করে তাঁর বাড়িতে ইডি (ED) পাঠানো হয় এবং তার নেপথ্যে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তাপসবাবুর ক্ষোভ এতটাই বেশি যে আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’র প্রচারের দায়িত্বও নিতে চাননি তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে ভূপতিনগরে বিপুল বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার, নাশকতার ছক?]

তাঁর সেই ক্ষোভ দমনে এবার উদ্যোগী দল। রবিবার থেকেই দফায় দফায় তাপসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। ফোন করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কেউ কেউ। আর সোমবার সকালে তাপসবাবুর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), ব্রাত্য বসু। তিনি যাতে দলত্যাগ না করেন, সেই মর্মে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে বলে খবর। 

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে দেহের সঙ্গে ৪ দিন বসবাস! তার পর এই কাণ্ড ঘটালেন প্রৌঢ়]

এদিকে, আজই তাপস রায়ের বিধানসভায় যাওয়ার কথা। তা আটকাতেই দ্রুত ব্রাত্য ও কুণালের তাঁর কাছে যাওয়া, এমনই খবর সূত্রের। প্রায় একঘণ্টা পর বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”এখানে প্রায়ই আসি, আজও এসেছিলাম। তাপসদা দাদার মতো। দাদা-ভাইয়ের যা কথা হওয়ার, তাই হয়েছে। আমি তো চাই, উনি যেখানে আছেন, সেখানে থাকুন। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement