কলহার মুখোপাধ্যায়: রাম মন্দিরের (Ram Temple) ভূমিপুজো উদযাপনের আয়োজনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বচসা-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউটাউনের নারায়ণপুর। অভিযোগ, ভূমিপুজো উদযাপনের জন্য এলাকা সাজানোর সময় মঙ্গলবার রাতে নারায়ণপুরে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চলে গুলি। রাতে ঝামেলা মিটলেও অশান্তির আবহ বজায় থাকায় বুধবার এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তা সত্ত্বেও সকালে ফের শুরু হয় বচসা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই এদিন নিউটাউনের নারায়ণপুরেও রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপনের আয়োজন করছিল বিজেপি। অভিযোগ, আচমকা সেখানে হানা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আয়োজন বন্ধ করতে বলে তারা। এই নিয়ে সামান্য কথাকাটাকাটি হয় দু’পক্ষের। তখনই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এলোপাথারি বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আতঙ্কিত হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গভীর রাতেই ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় (Tapas Chatterjee)। সেখানে তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ফের ভূমিপুজো উদযাপনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ মুহূর্তেই তা সামাল দেয়। এপ্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “পুলিশ প্রথমে পুজোর অনুমতি দিতে চায়নি। যা ঘিরে সকালেও একপ্রস্থ বচসা হয়। ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়েছে। তবে প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে এলে পুজোর অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।” পুলিশের মদতেই দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে বলেই দাবি একাংশের।
মঙ্গলবারের অশান্তি প্রসঙ্গে বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গভীর রাতে অশান্তির খবর পেয়েই আমি নারায়ণপুরে যাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরাও আমাকে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। কী ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নিউটাউনে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপনে বাধা দিতে চেয়েছিল। কোনও লাভ হয়নি। ভয় না পেয়ে মানুষই রুখে দাঁড়িয়েছে।” প্রসঙ্গত, শুধু শহর কলকাতা বা শহরতলি নয়, ভূমিপুজো উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.