অর্ণব আইচ: একেই বলে চোরের কীর্তি! বাবাজির টিকির দেখা নেই। কিন্তু তার কাজে সাত সকালে রীতিমতো শোরগোল পড়ল যতীন দাস পার্কে। বোমের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকলেন পথচারী ও প্রাতঃভ্রমণকারীরা। এল পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়া কুকুরও। কিন্তু শেষে বেরল কয়েকটা শুকনো জামা-কাপড়।
[ ইছাপুর থেকে পাচার বিহারে, অস্ত্রের খোঁজে পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে এসটিএফ ]
বুধবার সকালে যখন রবিগানে মুখর কলকাতা, তখন হুলস্থুল যতীন দাস পার্কে। সকালে পার্কে অনেকেই বেড়াতে যান। প্রতিদিনের মতো এদিনও গিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁদের চোখে পড়ে পার্কের এক কোণে পড়ে আছে একটা বন্ধ ট্রলি ব্যাগ। কী থাকতে পারে ব্যাগটিতে? পাশেই মেট্রো। আচমকাই মাথাচাড়া দেয় বোমাতঙ্ক। নাশকতার ছক কষে কেউ ফেলে রেখে যায়নি তো! সন্দেহ দানা বাঁধতেই সকলেই ব্যাগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। খবর দেওয়া হয় নিকটবর্তী ভবানীপুর থানায়। চলে আসে পুলিশ। কিন্তু বন্ধ ট্রলি না খুলে বরং বম্ব স্কোয়াডে খবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো পিটিএস থেকে আসে বম্ব ডিসপোজাল বিভাগের অভিজ্ঞ কর্মীরা। সঙ্গে নিয়ে আসা হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরও। কিন্তু কুকুরদের হাবেভাবে উদ্বেগজনক কিছু ধরা পড়েনি। কর্মীরা তখন ট্রলিটিকে খুলেই ফেলেন। দেখেন ভিতরে কিছু কাপড়-চোপড় আর কাগজপত্র। তন্নতন্ন করে খুঁজেও বোমার টিকি মেলেনি। নেহাতই সাদামাটা ব্যাগ।
[ লজেন্সের লোভ দেখিয়ে বালিকাদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২ প্রৌঢ় ]
কোত্থেকে এল এই ব্যাগ? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটা কোনও চোরের কীর্তি। ব্যাগটিকে হাতিয়ে পার্কে নিয়ে আসে চোর বাবাজি। কিন্তু ভিতরে সম্ভবত বিশেষ কিছু মেলেনি। কিংবা টাকা-পয়সা মিললে তা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছে। ফেলে রেখে গিয়েছে ব্যাগটিকে। তাই নিয়েই এত কাণ্ড। তবে ব্যাগ খুলতে যে কিছু বেরোয়নি, তা জেনে আপাতত স্বস্তিতেই বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.