ছবি: প্রতীকী
কলহার মুখোপাধ্যায়: পচাগলা জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দমদমের (DumDum) মল রোডে। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতেরা সম্পর্কে মা ও মেয়ে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ে বৈশাখী দাসের সঙ্গে দমদম মল রোডে থাকেন ষাটোর্ধ্ব অপর্না দাস। বহুদিন আগে অপর্ণাদেবীর স্বামী মারা যাওয়ার পর পেনশনের টাকাতেই চলত মা-মেয়ের সংসার। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই তাঁদের দেখতে পাননি কেউ। এরপরই ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। প্রতিবেশীরা প্রথমটায় খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও গন্ধের তীব্রতা বাড়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই খবর দেওয়া হয় দমদম থানায়। শুক্রবার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে বৃদ্ধার মৃতদেহ পচাগলা অবস্থায় খাটের মধ্যে পড়ে রয়েছে। একই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে মেয়ের দেহ।
ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই তা স্পষ্ট হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি বৈশাখী। সেই কারণেই কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, কম করে দেড়দিন আগে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা দেবীর। দেহে পচনও ধরতে শুরু করেছিল। তার প্রায় ১০ ঘণ্টা পরে মৃত্যু হয়েছে বৈশাখীর। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, “ওই পরিবার কারও সঙ্গে খুব একটা মিশত না। কিছুদিন আগে জলের লাইনের সমস্যা নিয়ে কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিল। সেই সমস্যা মিটেও গিয়েছিল।” প্রতিবেশীদের কথায়, ওই পরিবার যেহেতু কারও সঙ্গে মিশত না, সেই কারণেই তাঁরাও প্রথম দিকে খোঁজ নেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.