কলহার মুখোপাধ্যায়: রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী ও শাশুড়ির রহস্যমৃত্যু। শনিবার গভীর রাতে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করেছে ওই দু’জনের দেহ। দেহ দু’টি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা গিয়েছে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের শাশুড়ির বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা। তাঁদের শরীরে মেলেনি করোনা সংক্রমণের অস্তিত্বও।
দীর্ঘদিন ধরেই সল্টলেক সেক্টর ১-এর BE ব্লকে থাকতেন সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মিষ্ঠা দে পুরকায়স্থ ও তাঁর মা পাপিয়া দে। মৃতাদের আত্মীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন পাপিয়াদেবী। দিন পনেরো আগে বাথরুমে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে আসেন। তার দেখভাল করছিলেন মেয়ে শর্মিষ্ঠা। গত বৃহস্পতিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। একই সঙ্গে শর্মিষ্ঠাদেবীও অসুস্থ হন। কয়েকজন আত্মীয় তাদের দেখভালের জন্য বিই ব্লকের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের জিডি ব্লকের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দু’জনকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের সল্টলেকের আমুল আইল্যান্ডের কাছে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকটি সমস্যা দেখা দেওয়ায় দু’জনকেই বাড়ি ফিরিয়ে আনেন আত্মীয়রা। শনিবার মাণিকতলার অপেক্ষাকৃত একটি কম ব্যয়বহুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সন্ধে নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে বিই ব্লকের বাড়িতে যান আত্মীয়রা।
হাজার ডাকাডাকিতে মা-মেয়ের সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তাঁদের কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন দু’জন দু’ঘরে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ। দেহ দু’টি আরজিকরে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা গিয়েছে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের শাশুড়ির বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা। তাঁদের শরীরে মেলেনি করোনা সংক্রমণের অস্তিত্বও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.