ছবি: প্রতীকী
অভিরূপ দাস: করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় তিনদিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে রইল বৃদ্ধার দেহ। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দেহে কার্যত পচন ধরে যায়। এদিকে চারদিনের মাথায় রিপোর্ট মিলতেই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেনই না! বাঘাযতীন হাসপাতালের এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ মৃতার পরিবার।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম মিনতি ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। জ্বর তেমন না থাকলেও প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল। স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি না নিয়ে ১৯ এপ্রিল তাঁকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। পরীক্ষা করে দেখা যায় অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছে। শুরু হয় চিকিৎসা। ২১ এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। ওই দিন রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগী। কোভিড রিপোর্ট না আসায় দেহ পাঠানো হয় মর্গে। তারপর পেরিয়ে যায় তিনদিন। চতুর্থদিন অর্থাৎ রবিবার দুপুরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এলে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ছিলেন না ওই বৃদ্ধা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর পরিবার-পরিজনরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন এত দিন লাগল রিপোর্ট আসতে? অভিযোগ, হাসপাতালের অব্যবস্থার কারণেই অহেতুক মর্গে পচন ধরল তাঁদের পরিবারের সদস্যের দেহ।
অব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাঘাযতীন হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে ঠিক মতো পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই ওই হাসপাতালে। কোভিড টেস্টের স্যাম্পেল পাঠানো হয় এসএসকেএমএ। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে কয়েকদিন সময় লাগে। ফলে সমস্যা তৈরি হয়। অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঙ্গুরকে কোভিড হাসপাতাল করার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত রোগীর চাপ পড়েছে বাঘাযতীন হাসপাতালে। কিন্তু পরিকাঠামো উন্নত হয়নি। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। করোনা পরিস্থিতিতে এহেন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে আমজনতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.