অর্ণব আইচ: বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলে দিন পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শিয়ালদহের (Sealdah) এক গেস্ট হাউজের মালিক ভূপাল মুখোপাধ্যায়। এরপর আর তাঁর হদিশ পায়নি পরিবার। বেশ কয়েকদিন পর হাওড়ার শিবপুর লঞ্চঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যক্তির দেহ। ঘটনার সঙ্গে মৃতের বন্ধু সুরজ শোনকারের যোগ রয়েছে বলেই দাবি পরিবারের। রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের কথায়, ২৯ জুন রাতে মৃত ভূপাল মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে বন্ধু সুরজ শোনকার। এরপরই বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান ব্যবসায়ী। সেদিন রাতে বাড়ি ফেরেননি তিনি। বন্ধ ছিল ফোনও। দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করলেও কিছুই জানতে পারেননি। সুরজ শোনকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। পরের দিন সকালে মুচিপাড়া থানায় যায় ভূপালবাবুর পরিবার। সেই সময়ও সুরজকে ফোন করলে সে কল রিসিভ করেনি। পরে অন্য নম্বর থেকে ফোন করতেই ফোন ধরে সে। জানায়, রাতেই ওই হোটেল ব্যবসায়ী তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এরপর সুরজ ভূপালের ফোন তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে জানায়, বন্ধু ভুল করে তার বাড়িতে ফোনটি ফেলে এসেছিল।
এরপর ২ জুলাই নিমতলার ভূতনাথ মন্দিরের কাছে মেলে ভূপালের মোটরবাইক। সুরজই সেকথা ভূপালের পরিবারকে জানায়। নর্থ পোর্ট থানা বাইকটি উদ্ধার করে। একের পর এক সুরজের মাধ্যমে স্বামীর সমস্ত সামগ্রী ফেরত পাওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে মৃতের স্ত্রীর মনে। সুরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যায় ভূপালের পরিবার। কিন্তু ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর ডিসি’র অফিসে গেলে সেখান থেকে নির্দেশ পেয়ে শনিবার সুরজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয় মুচিপাড়া থানা। এরপরের দিনই গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় ভূপালবাবুর দেহ। এখানে প্রশ্ন উঠছে, ভূপালবাবু সত্যিই কী ফোনটা ফেলে এসেছিলেন? সেক্ষেত্রে বাইকটি ভূতনাথ মন্দিরের কাছে গেল কীভাবে? নাকি পরিকল্পনামাফিক বন্ধুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল গঙ্গায়? সুরজ শোনকারের থেকে পাওয়া তথ্যেই এই রহস্যের জট কাটবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.