ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পিকনিক করতে। কিন্তু নতুন বছরে আর বাড়ি ফিরলেন না তরুণ। বছরের প্রথম দিনই শূন্য হল মায়ের কোল। চারদিন পর ভাগাড় থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে তরুণের দুই বন্ধুকে।
রবিবার সকালে দমদমের প্রমোদনগর এলাকা থেকে ওই তরুণের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কীভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের এক বন্ধু জানাচ্ছেন, বর্ষবরণের রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর ফোনও সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল। ছেলে বাড়ি না ফেরায় পরের দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পুলিশের কাছে ডায়েরি করাতে যান ওই তরুণের মা। আগের রাতে ছেলে যে দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, সেই দু’জনও সন্দেহ এড়াতে থানায় যান বন্ধুর মায়ের সঙ্গেই। কিন্তু শেষবার তাঁকে এই দু’জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
তরুণকে কীভাবে বা কোথায় খুন করা হয়েছে, প্রমাণ লোপাটের জন্যই সেটি প্রমোদনগরের ভাগাড়ে এনে ফেলা হয়েছিল কি না, এসব জানতে চাওয়া হচ্ছে। তবে তরুণের মোবাইল ফোনটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধার করা গেলে তদন্ত আরও দ্রুত এগোবে বলে মনে করছেন পুলিশের আধিকারিকরা। এদিকে গোটা ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা। তাঁর দাবি, ৮০০ টাকার জন্য দুই বন্ধুই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। তিনি বলেন, “ও আমার একমাত্র ছেলে। আমার সবকিছু কেড়ে নেওয়া হল। ৮০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ও। সেই টাকার জন্যই ওকে খুন করা হয়েছে।” দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন মৃতের মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.