রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামী বছর লোকসভা ভোট। তাই জনসংযোগের কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে নারাজ জাতীয় দলগুলি। জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে এবার দুর্গাপুজোকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস ও বিজেপি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আগেই পুজোয় কলকাতা সফরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অষ্টমীর দিন শহরের একটি নামী পুজো মণ্ডপে অঞ্জলী দেবেন রাহুল। শোনা যাচ্ছে এবার রাহুলের পালটা দিতে আসরে নামছে বিজেপিও। পুজোর কলকাতায় দেখা যাবে বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে।
পুজো কাটাতে সপরিবারে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে যাবেন তিনি। এমনই খবর বিজেপি সূত্রে। ষষ্ঠীর রাতে শহরে আসবেন প্রভু। সপ্তমী ও অষ্টমী কলকাতায় থাকবেন। যদিও বিজেপি সূত্রের দাবি, কোনও দলীয় কর্মসূচি নয়, সুরেশ প্রভুর এটা ব্যাক্তিগত সফর। বিজেপি দাবি করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা অন্য। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও পুজোর সময় কলকাতায় আসছেন। অঞ্জলি দেবেন তিনি। সুরেশ প্রভুর আসা কংগ্রেসকে বিজেপির পাল্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। পুজোর সময় বিজেপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও কলকাতায় থাকতে পারেন বলে খবর। পুজোতে এবার বিভিন্ন মণ্ডপ ও জনবহুল এলাকায় বুক স্টলের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে বিজেপি। মোদির বই থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার লিফলেট বিলি করা হবে বুকস্টল থেকে।
তবে, বিজেপির জনসংযোগের এই চেষ্টা শুধুমাত্র কংগ্রেস সভাপতির পালটা চাল নয়। এরাজ্যে বিজেপির মূল লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর পুজোতে জনসংযোগে মমতা তথা তৃণমূলের জুড়ি মেলা ভার। প্রায় প্রতিটি বড় পুজো কমিটির সঙ্গেই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত রাজ্যের শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা। পুজোয় এবার তৃণমূলের একাধিপত্য কমাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেজন্যই পুজোয় জনসংযোগের মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.