রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) তৃণমূলে যোগদান শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আপাতত তাঁকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ব্যস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের সময় পিছিয়েই চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সময় বদলানো হয়েছে। আর তা নিয়ে গুঞ্জন আরও উসকে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে নানা কথাই। তৃণমূলে ফেরার পর তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন। এই মুহূর্তে মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক (MLA)। বিধানসভায় শপথ গ্রহণও করেছেন। কিন্তু পুরনো দলে তিনি বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন। তাই প্রথমবার বিধায়ক হয়েও সেই দায়িত্বে আর থাকতে নাও পারেন। এমনই খবর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।
এদিকে, মুকুল রায়ের প্রায় আচমকা এই সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটা বিভ্রান্ত গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলের বেশ কয়েকজন, যাঁরা অধিকাংশই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা। যদিও বিজেপি (BJP) রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যেন কোনও মন্তব্য না করেন। বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan) কড়া প্রতিক্রিয়া, ”মুকুল রায় মীরজাফর। দলের ক্ষতি করেছে। বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায় চাণক্য নয়। নিজের ছেলে শুভ্রাংশুকে জেতাতে পারেননি। বিজেপিকে বাংলায় জেতাতে পারেননি। এক কেন্দ্রীয় নেতা ওঁকে ভরসা করেছিলেন। মুকুল রায়ের কথা শুনে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। মুকুল রায় চাণক্য নন, মীরজাফর সেটা প্রমাণিত।”
এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, ”কেউ দল ছেড়ে চলে গেলে, কিছু যায় আসে না। কর্মীরা দলের সম্পদ, তাঁরা দলেই থাকবেন।” আরেক সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Sing) বলছেন, ”মুকুল রায় বেইমান। উনি নিজের জন্য এসেছিলেন। মুকুল রায় চলে গেলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। মুকুল রায় কোথাও জিততে পারেননি। নিজের কোনও ক্যারিশমা নেই। বিজেপির প্রতীকে এবার জিতেছেন। মুকুল রায় গদ্দারি করলেন।” দলীয় নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তিনি আবার ‘লবিবাজি’ নিয়ে সরব হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.