রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কিতে আহত বেশ কয়েকজন। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠাল রাজ্য বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, ঠাকুরনগরের জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। জনসভায় আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
[ব্রিগেড শুরুর আগেই ধাক্কা বামেদের, আসছেন না কানহাইয়া]
ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসংঘের সভায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিকে ঘিরে চলেছে বিস্তর টানাপোড়েন। মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির দেবোত্তর সম্পত্তির অংশ শ্রীধর ময়দানে সভা করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বড়মা বীণাপানির পুত্রবধূ ও তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর দাবি ছিল, যেদিন শ্রীধর ময়দানে মোদির সভা, সেদিন মতুয়াদের নাম সংকীর্তন হবে। প্রশাসনের আগাম অনুমতিও নেওয়া আছে। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত কৌশল বদলাতে হয় বঙ্গ বিজেপিকেই। জানিয়ে দেওয়া হয়, ঠাকুরনগরে দলের পতাকা, ফেস্টুন ছাড়াই সভা করবেন মোদি। শনিবার পূর্ব ঘোষণামতো ঠাকুরনগরে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, তুমুল বিশৃঙ্খলার কারণে মাঝপথেই ভাষণ থামিয়ে সভাস্থল ছাড়তে হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, শনিবার ঠাকুরনগরের সভায় মোদি ভাষণ শুরু করতেই ভিআইপি জোনের ব্যারিকেড ভেঙে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন সমর্থকদের একাংশ। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে, দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে মহিলা-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বিশৃঙ্খলতা এমনই পর্যায় পৌঁছায় যে, মঞ্চ থেকে দর্শকদের শান্ত থাকার আবেদন করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত মোটে ১৬ মিনিটে ভাষণ দিয়েই সভাস্থল ছাড়েন মোদি। দুর্গাপুরে দ্বিতীয় জনসভায় ঠাকুরনগরের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
[ বাজেটের সমালোচনায় এক সুর বাম-কংগ্রেসের, বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.