সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাস্তি পেয়েছে হায়দরাবাদ ধর্ষণে অভিযুক্তরা। প্রকাশ্যে এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু, এভাবে এনকাউন্টার করে মারাটা কতটা নৈতিক? এ প্রশ্নে দ্বিমত রয়েছে। আমজনতার একটা বড় অংশ যেমন এই এনকাউন্টারকে সমর্থন করেছেন, তেমনি এর বিরুদ্ধ মতও আছে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী তথা বরেণ্য ব্যক্তিদের অনেকেই পুলিশের এই আচরণের বিরোধিতা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন সিনেমা জগতের কিংবদন্তি তথা সমাজসেবী অপর্ণা সেনও। ধর্ষকদের শাস্তির দাবি করেও এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, এভাবে পুলিশ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। কিন্তু, অপর্ণা সেনের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারই সমাদৃত হয়নি। উলটে তাঁকে বিতর্কিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
শুক্রবার সাতসকালে হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের খবরে ঘুম ভাঙে দেশবাসীর। অনেকেই পুলিশের এনকাউন্টার করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এনকাউন্টারের বিরোধিতা করে অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বলেন, এতে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হল না। আইন মেনে সাজা হলেও দৃষ্টান্ত হত। গুলি করে মারা কখনও দৃষ্টান্ত নয়। পুলিশের হাতে ক্ষমতা যেতে পারে না। এনকাউন্টার যদি হবে, তাহলে পায়ে গুলি করা যেত। বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা থামাতে হবে। আরও দ্রুত ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। সরাসরি গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনা তিনি সমর্থন করতে পারছেন না।
এর পালটা তাঁকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। এক ফেসবুক পোস্টে অনুপম প্রশ্ন তোলেন, হায়দরাবাদের ধর্ষিতার জায়গায় যদি অপর্ণা দেবীর মেয়ে থাকত, তাহলেও কি তিনি এই এনকাউন্টারের বিরোধিতা করতেন? অনুপমের ভাষায়, “জানতে খুব ইচ্ছে করছে, হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে, নির্যাতিতার নাম যদি কঙ্কণা সেন শর্মা হতো, তাহলে কি শ্রীমতি অপর্ণা সেনের পুলিশ এনকাউন্টার সম্পর্কে একই প্রতিক্রিয়া থাকত?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.