Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

দক্ষিণ কলকাতার সভাপতিকে সরানোর দাবি, বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মীদের

দিল্লি বিধানসভা ভোটে ফলাফল প্রকাশের পরেই প্রকট বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!

BJP workers from South Subarbon area show agitation in front of state office

ঘটনাস্থলের ছবি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 13, 2020 5:13 pm
  • Updated:February 13, 2020 5:15 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে গত মঙ্গলবার। বিজেপির সমস্ত প্রচার যন্ত্রকে হার মানিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (AAP)। আর তারপরই প্রকট হয়ে উঠেছে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! গতকালই রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের একটি টুইটকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। স্বপনবাবু নাকি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করেই ওই টুইট করেছিলেন বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও তা মানতে চায়নি কোনও পক্ষই। বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার দক্ষিণ কলকাতা শহরতলি জেলার সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর দাবিতে উত্তাল হল বিজেপির রাজ্য দপ্তর।

bjp state office

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল। সোমনাথ বন্দ্য়োপাধ্যায় বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা শহরতলি জেলার বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তিনি তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু, কোনও কিছুতে রাজ্য নেতৃত্বের টনক নড়েনি। তাই আজ দুপুরে বাধ্য হয়ে তাঁরা রাজ্য দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বলে দাবি সেখানে জমায়েত হওয়া বিজেপি কর্মীদের। সোমনাথ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরানো না হলে আগামীতে আরও বেশি বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অন্য কাউকে সভাপতি পদে বসানোর আরজি জানান।

[আরও পড়ুন: ‘নিয়ম মেনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে’, রাজ্য সরকারের দাবি খারিজ মেট্রো কর্তৃপক্ষের ]

 

এদিকে পুরভোটের আগে কলকাতা দক্ষিণ শহরতলি জেলায় দলের এই কোন্দলকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ এবং উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলি জেলায় দলের নতুন কমিটি এখনও করে উঠতে পারেনি বিজেপি। ভোটের আগে কলকাতা পুর এলাকার এই চার জেলার সংগঠন নিয়েও সমস্যায় রয়েছে তারা। এর প্রভাব আসন্ন পুরভোটেও পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement