অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ধরনায় শামিল মাংস বিক্রেতা বিজেপি নেতা। শুধু শামিল হওয়াই নয়, রীতিমতো হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঞ্চে বসে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, “আমরা টেট পাশ প্রশিক্ষিত তবুও আমরা বঞ্চিত?” আর এই ছবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সুদাম গিরি। বছর চল্লিশের ওই যুবকের বাড়ি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। বাড়ির কাছেই কাশিনাথ চ্যাটার্জি লেনে রাস্তার উপর তাঁর একটি মুরগির মাংসের দোকান রয়েছে। মুরগি কেটে মাংস বিক্রি করাই তাঁর পেশা। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে তিনি পোস্টার হাতে বসেছিলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রবিবার সুদাম গিরি জানান, তিনি স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিজয়া দশমীর দিন কলকাতায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে তাঁদের মিষ্টি বিতরণ করতে গিয়েছিলেন।
ওই যুবক নিজেকে বিজেপি কর্মী হিসেবে স্বীকার করলেও সেদিন তিনি দলের তরফে ধরনা মঞ্চে যাননি বলেই জানিয়েছেন। ওই যুবকের দাবি, তিনি এলাকার বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই সেদিন টেট পরীক্ষার্থীদের ধরনা মঞ্চে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, তাঁরা যখন দশমীর দিন ধরনা মঞ্চে যান তখন কয়েকজন আন্দোলনকারী তাঁদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন। সেইমতোই একটি পোস্টার নিয়ে তিনিও আন্দোলনকারীদের পাশে বসেন বলে জানান মাংস বিক্রেতা। আর তখনই কেউ বা কারা তাঁর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে বলে জানান সুদাম গিরি। একই সঙ্গে ওই যুবক স্পষ্ট জানান, তিনি কোনওদিন টেট পরীক্ষা দেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি টেট পরীক্ষার্থীদের পাশে এভাবে পোস্টার নিয়ে বসলেন কেন, তা নিয়েই বেঁধেছে বিতর্ক।
ওই যুবক বিজেপি কর্মী হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া জেলার নেতা তথা রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “কেউ কারও আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে একটা পোস্টার ধরে বসলেই সে আন্দোলনকারী হয়ে যায় না। এটা অনেকসময়ই হয়, আন্দোলনের পাশে থাকতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পোস্টার হাতে বসেন অনেক রাজনৈতিক নেতাই। এটা কোনও ইস্যু নয়। আসলে যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের সমস্যা এরিয়ে যেতেই এ ধরনের বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপি আন্দোলনকারীদের পাশে সবসময় আছে। তবে ওই যুবক আমাদের দলের কর্মী কি না বা উনি সেদিন কী করেছেন তা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.