ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। অমিত শাহ ২ দিনের বঙ্গ সফর সেরে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ফেরার পরই সোমবার সকালে টুইটে চ্যালেঞ্জ জানালেন পিকে। তাঁর বার্তা, বাংলার নির্বাচনের দু’অঙ্ক পেরতে বিজেপিকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে। এরপরই বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে তিনি নিচে লেখেন, যদি এর চেয়ে ভাল ফল হয় বিজেপির, তাহলে তিনি কাজ ছেড়ে দেবেন।
For all the hype AMPLIFIED by a section of supportive media, in reality BJP will struggle to CROSS DOUBLE DIGITS in #WestBengal
PS: Please save this tweet and if BJP does any better I must quit this space!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 21, 2020
তৃণমূলের (TMC) ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (PK) নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ বাড়ছে। তাঁর সঙ্গে কর্পোরেট ধাঁচে রাজনীতির কাজ করতে নারাজ অভিজ্ঞরা। এ নিয়ে নানাজন ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছেন। এমনকী তথাকথিত ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা, মন্ত্রীরা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় পিকে’র উপস্থিতি মানতে চান না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দৃঢ় ধারণা, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের নেপথ্য নায়ক নাকি এই প্রশান্ত কিশোর।
একদিকে পিকে’কে নিয়ে যখন দলের অন্দরে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে, সেসময়ে গেরুয়া শিবিরও একুশে বাংলার ক্ষমতা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক বাড়ছে তৃণমূল-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের। প্রায় প্রতি মাসেই দিল্লি থেকে নেতা, মন্ত্রীরা এসে বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশেষত এবার তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের বড় প্রাপ্তি শুভেন্দু অধিকারী-সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা, বিধায়ক। তাতে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। অমিত শাহ বলেই দিয়েছেন, বঙ্গ বিজেপির সদস্য, বাংলার কোনও ভূমিপুত্রই হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপির (BJP)এই লাগাতার প্রচারের বিরোধিতায় দলের একঝাঁক নেতাকে আগেই নামিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কখনও সুব্রত বক্সি, কখনও ব্রাত্য বসুদের তৃণমূল ভবন থেকে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধিতায়। এবার তাতে নবতম সংযোজন, দলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। টুইট করে তিনিও বিজেপিকে একহাত নিলেন। খোলা চ্যালেঞ্জ করে তিনি বললেন, বিজেপি বঙ্গে দু’অঙ্কের আসন পেরতে পারবে না। আর যদি তার চেয়ে ভাল ফল হয়, তাহলে তিনি কাজ ছেড়ে দেবেন। এমনকী তাঁর এই টুইট পরবর্তী সময়ে মেলানোর জন্য যেন রেখে দেওয়া হয়, তাও উল্লেখ করেন পিকে। রাজ্যে নির্বাচনী উত্তাপের পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর এই টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.