সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাৎ এখন বঙ্গ রাজনীতির হটকেক। জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে দু’জনের আলাপচারিতা ঘিরে। যা বিজেপির অন্দরেও চিন্তা বাড়াচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এমন পরিস্থিতিতে অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাৎ নিয়ে মুখ খুললেন খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা এই ঘটনাপ্রবাহে নতুন মাত্রা যোগ করল।
মঙ্গলবার সন্ধেয় মুকুলপত্নী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে বাইপাসের হাসপাতালে আসেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো দলের সহযোদ্ধার এই ব্যবহারে ‘আপ্লুত’ মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর পাশে থাকার কৌশলী বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক। এর পরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁর সঙ্গে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশুর দেখা হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। অভিষেকের পর দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে আসাকে অনেকেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের’ চেষ্টা বলে কটাক্ষ করছেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, “মুকুল রায়ের স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে রোগীর আত্মীয়স্বজনের মনোবল বাড়ানো দরকার। পরস্পরের পাশে থাকা, সহযোগিতা করা উচিত।” অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাৎ নিয়ে কী ভাবছেন দিলীপবাবু? সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, “সংকটের সময় সব ভুলে গিয়ে একসঙ্গে আসাই ভালো। কষ্টের সময় একসঙ্গে থাকা উচিত। পূর্ব পরিচিত, দেখা করতেই পারেন।”
কিন্তু ঘটনা পরম্পরা ঘিরে প্রশ্ন উঠছেই। গত ১৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে মুকুল রায়ের স্ত্রী। শারীরিক অবস্থাও জটিল। রয়েছেন একমো সাপোর্টে। অথচ গত ১৫ দিন হাসপাতাল চত্বরে কোনও বিজেপি নেতা-নেত্রীকে দেখা যায়নি বলেই খবর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটলেন দিলীপবাবু। অবশ্য তাঁর সঙ্গে মুকুল রায় বা তাঁর ছেলে, কারওরই দেখা হয়নি। তবে দিলীপ ঘোষের এই ঝটিকা সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কারওর নাম না করেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন শুভ্রাংশু। লিখেছিলেন, “জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন।” ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোটে হারের পর থেকেই মুকুল পুত্রের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বাড়ছে। এবার সেই দূরত্ব ঘোচাতেই মাঠে নামলেন দিলীপ, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.