Advertisement
Advertisement

Breaking News

ব্রিগেডে পালটা সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি, তৃণমূলকে ভাগাড়ের সঙ্গে তুলনা বিজেপির

এটাই শেষ ২১ জুলাই সমাবেশ, হুঁশিয়ারি রাহুলের।

BJP to counter Mamata’s rally with Brigade march on January 23
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 21, 2018 4:50 pm
  • Updated:July 21, 2018 4:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ এবারই শেষ, এরপর আর কারও বাড়ির উঠোনে বা আঙিনায় সভা করতে হবে।” শাসকদলের একুশে সমাবেশকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। রাহুল বলেন, এরপর আর তৃণমূল দলটার অস্তিত্বই থাকবে না, তাই ২১ সমাবেশের প্রশ্নই ওঠে না। রাহুল সিনহার দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি আতঙ্কে ভুগছে, ২১ জুলাই সভা থেকে তা পরিষ্কার। মুখ্যমন্ত্রীর গতানুগতিক বক্তব্যে বিজেপিকে আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই ছিল না।রাজ্যের কোনও নতুন পরিকল্পনা বা নতুন কোনও দিশা দেখাতে পারেননি, ৯৮ শতাংশ শুধু বিজেপির আতঙ্ক, বিজেপির সমালোচনা। মুখ্যমন্ত্রী পুরোপুরি মেরুকরণ করে দিয়েছে যেটা আমরা চাইছি না।”

[১৯-এর লক্ষ্যে সারা বছরের কর্মসূচি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্যের পালটা দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে ভাগাড়ের সঙ্গে তুলনা করলেন রাহুল সিনহা। ব্রিগেডের সভায় মমতা বলেছিলেন, ত্রিপুরা মডেল বাংলায় কাজ করবে না কারণ ত্রিপুরায় সিপিএম পচে গিয়েছিল। মমতার পালটা দিতে গিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, “ত্রিপুরায় সিপিএম পচে গিয়ে থাকলে, এরাজ্যে তৃণমূল ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই ভাগাড় পরিষ্কারের কাজ করবে।” একুশের সভা থেকে সিপিএম বা বিজেপিকে সেভাবে তোপ দাগতে শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। রাহুল সিনহার দাবি, ‘আসলে মমতা চাইছিলেন অন্য রাজ্যের মতো এরাজ্যেও বিজেপি-বিরোধী মহাজোট হোক। কিন্তু যেহেতু তা হচ্ছে না তাই তিনি আক্ষেপ করছেন।’ সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার দিল্লি দখলের ডাকেরও পালটা দেন গতানুগতিক ভাবেই। বিজেপি নেতা বলেন, ‘আগে বাংলা সামলান, তারপর দিল্লি।’ মমতার সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির পালটা হিসেবে রাহুল বলেন, “মমতা মুসলিমদের ব্যবহার করেছে, এবার হিন্দুদের ভোট চাইছেন, উনি মুসলিমদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।”

Advertisement

[একুশের মঞ্চে মমতার অঙ্গীকার, লোকসভায় চাই ৪২-এ বিয়াল্লিশ]

তবে, এসবের পরেও আসল চমক বাকি ছিল। তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যেই ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভা থেকে উনিশের ভোটে জয়ের ডাক দিয়েছেন। দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে একমঞ্চে হাজির করার কথাও ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী। মমতার সভার পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপিও। তৃণমূলের সমাবেশের চারদিন পরই অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারী নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ব্রিগেডে পালটা সমাবেশ করবে গেরুয়া শিবিরও। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  তাঁর আগে থেকেই গোটা রাজ্যে এই সভার প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement