রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুরভোটে বিপর্যয়। চরমে দলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ ও দুর্নীতির অভিযোগ এবং সর্বোপরি সাংগঠনিক স্তরে অচলাবস্থা। এ হেন টালমাটাল পরিস্থিতিতেই ঘোষিত হতে পারে বিজেপির (BJP) নয়া রাজ্য কমিটি। দলীয় সূত্রের খবর, বড়দিনের আগেই নয়া কমিটি ঘোষণা করে দিতে পারে গেরুয়া শিবির।
দলের রাজ্য কমিটি চূড়ান্ত করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। বুধবার বিকেলেই দিল্লিতে উড়ে যাবেন বালুরঘাটের সাংসদ। শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। অন্তত এমনটাই সূত্রের খবর। দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের পর বড়দিনের আগে যে কোনও সময় দলের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে পারে বিজেপি।
সেপ্টেম্বর মাসে একপ্রকার হঠাৎই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করে বিজেপি। সুকান্তকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও দিলীপের আমলের রাজ্য কমিটিতে কোনও বদল করা হয়নি। অর্থাৎ যে রাজ্য কমিটির নেতৃত্বের বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে, তারাই এখনও ক্ষমতায়। আর শুধু বিধানসভা কেন, তারপর যে উপনির্বাচন হল বা পুরসভা নির্বাচন (Kolkata Municpal Corporation) হল সব ভোটেই ভরাডুবি হচ্ছে বিজেপির। তাই রাজ্য কমিটিতে কিছু কিছু বদল চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সুত্রের খবর, ৩১-৩২ জনকে নিয়ে নতুন রাজ্য কমিটি গড়তে পারে বঙ্গ বিজেপি। তাতে অন্তত ৭-৮ জন মহিলা জায়গা পাবেন। সহ-সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক স্তরে বেশ কিছু রদবদল হতে পারে। আসতে পারে বেশ কিছু নতুন মুখ। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে এই সাধারণ সম্পাদক স্তর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক পদে অমিতাভ চক্রবর্তীর কার্যভারও কিছুটা লঘু করতে চাইছে বিজেপি (BJP)। তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হতে পারে আরও জনা-দুয়েক সহকারীকে। বদল আসতে পারে বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলিতে। নতুন কমিঠি গঠনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় এবং তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে থাকা নেতাদের বাদ দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এখন দেখার কারা কারা বাদ পড়েন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.