ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: টান টান উত্তেজনায় দিল্লিতে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বনাম যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দিচ্ছেন। দ্রৌপদী শাসক দলের প্রতিনিধি। অন্যদিকে তার প্রতিপক্ষ যশবন্ত সিনহা। দিনের শুরুতেই যশবন্ত অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অর্থের খেলা চলছে। এবার বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানাল তৃণমূল (TMC)। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ আনল গেরুয়া শিবির।
এনডিএ-র (NDA) নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু সংখ্যালঘু আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। এই প্রথম কোনও আদিবাসী সমাজের মানুষ ভারতের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন, প্রথম থেকেই এই মর্মে প্রচার চালায় বিজেপি। এদিন তার ছাপ পড়ে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সাংসদদের পোশাকেও। দেখা যায় তাঁরা ভোট দিতে এসেছেন পাজামা-পাঞ্জাবীর সঙ্গে গলায় আদিবাসী সমাজের পরিচিত উত্তরীয় চড়িয়ে। এই বিষয়েই আপত্তি তোলে তৃণমূল। এর ফলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন করে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে পালটা তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় রাজ্য সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানাল গেরুয়া শিবির। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এদিন ১৫টি গাড়ির কনভয় নিয়ে ভোট দান করতে আসেন। সঙ্গে ছিল প্রচুর লোক। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। ওঁকে পৌঁছে দিয়ে গাড়িগুলি ফিরে যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নিয়ম ভাঙেননি। বিজেপি নিয়ম জানে না।”
সোমবার সকাল ১০ টায় শুরু হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। এর ঘণ্টাখানেক পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”টাকার খেলা চলছে। টাকা দিয়ে সরকার পক্ষের দিকে ভোট টানার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলিকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ”শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয় এটা। সরকারি এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধেই লড়াই করছি। কারণ, তারা এতটাই ক্ষমতার শীর্ষে উঠে এসেছে যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। টাকার খেলাও চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.