রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের শিক্ষার মানের উন্নতি হচ্ছে নাকি অবনতি, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে শিক্ষক দিবসে রাজ্যের শিক্ষার মানের ঠিক কতটা অবনতি হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শিক্ষক এবং উপাচার্যদের ভয়ের পরিবেশে আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। পড়ুয়াদের উদ্দেশেও কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ”ডিগ্রি অর্জনটা নেশায় পরিণত হয়েছে এখন। অনেকে একাধিকবার এমএ করছেন, করতেই পারেন। দেখতে হবে, পড়াশোনাটা কাজে লাগছে কি না।”
করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে সমস্ত অনুষ্ঠানেই কোপ পড়েছে। নিউ নর্মালে ভারচুয়াল অনুষ্ঠানই ভরসা। সেই অনুযায়ী ভারচুয়ালি পালিত হল শিক্ষক দিবস। বিজেপির শিক্ষা সেলও সেভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করে। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই রাজ্য সরকার আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এখানে প্রেস ক্লাবের সামনে এসএসসিতে উত্তীর্ণদের ধরনা দিতে হয়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখঝামটা খেতে হয়। চতুষ্পদের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। কেন শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হল? রাস্তায় শিক্ষকরা থাকলে স্কুলে পড়াবে কে?”
উপাচার্যদেরও ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগে। বারবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় অভিযোগ করেন, উপাচার্যরা রাজ্য সরকারের কথামতোই চলেন। দিনকয়েক আগে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও একই অভিযোগ করেছিলেন। উপাচার্যরা তৃণমূল নেতাদের ‘গৃহভৃত্য’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এমন মন্তব্য করে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। এবার প্রায় সেই সুরেই সুর মেলালেন বিজেপি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “উপাচার্যদের শিরদাঁড়া সোজার করার ক্ষমতা নেই। চাকরি বাঁচাতে ধরনায় বসতে হচ্ছে। মন জুগিয়ে চলতে হচ্ছে। এভাবে পড়াশোনা হয় না।” এছাড়া বেসরকারি স্কুলে খরচ বাড়লেও, রাজ্য সরকারের তরফে তেমনভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও দিলীপের কটাক্ষের এখনও পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.