রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আদালতের নির্দেশে রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে বন্ধ ছটপুজো। আর তা নিয়ে রাজনীতির অলিন্দে চলছে জোর আলোচনা। যাতে কোনও অশান্তি না হয় তাই শহরের দুই সরোবরের দরজা দিনভর বন্ধ রাখা হয়। প্রচুর পরিমাণ পুলিশও মোতায়েন করা হয়। আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছে বলেই রবীন্দ্র (Rabindra Sarobar) ও সুভাষ সরোবরের সামনে এত বেশি পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।” বিবেকানন্দ পার্ক এলাকায় ছটপুজো উপলক্ষে মাইক লাগিয়েছিল বিজেপি। তবে তা খুলে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্য সরকার। দিলীপ ঘোষের তোপ, “বিয়ে, অন্নপ্রাশন সবকিছুতে রাজনীতি হয় বাংলায়। একটা দল সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বাংলায়। এভাবে কাউকে আটকানো যায় না।”
পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। আর ঠিক নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি পরোক্ষে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির কথাতেই জোরাল সওয়াল করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তার সুরেই খানিক গলা মেলালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিবেকানন্দ পার্কে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে সেকথাই বলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমি কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাষ্ট্রপতি শাসন চাইলে হবে না। সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন কী হবে আর না হবে। রাজ্যপাল আছেন। তিনি কেন্দ্রকে জানাবেন।” সম্প্রতি মালদহের সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেছে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সে প্রশ্নকে রাজ্যকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বোমা ফাটছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। তাতে মানুষের মনে ভয় তৈরি হচ্ছে।” যদিও দিলীপ ঘোষের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.