সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির জন্য সরাসরি সিপিএমের উপরেরই দায় চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, বাম জমানায় পঞ্চায়েতগুলিতে ১০০ শতাংশ দুর্নীতি হত। তবে তৃণমূলের আমলে তার ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মানতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মমতাকে পালটা জবাব দিলেন তিনি।
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোথায় দুর্নীতি নেই? বাচ্চাদের স্কুল, কলেজে ভরতি থেকে প্রাইমারি টেট কোথায় দুর্নীতি নেই? কোনও নেতা বাদ নেই। তৃণমূলের প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তার প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তারপরেও কী করে উনি বলছেন ৭-৮ শতাংশ? শুধু নামখানা ব্লকেই ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। নন্দীগ্রামে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে ২০ জনকে সাসপেন্ড করেছেন। ২০০ নয় ২৫০০ লোক বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ১০০০ কোটি টাকা ওদের পেটে গিয়েছে।” তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ ধরিয়ে দেওয়াই বিজেপির কাজ বলেই দাবি দিলীপ ঘোষের।
লকডাউনের সময় রাজ্যে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মদতেই রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের কম পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan) পর থেকে ত্রাণ নিয়ে ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীরা। যদিও দুর্নীতি হলে যে কাউকেই রেয়াত করা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয় বলেই মত গেরুয়া শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.