ফাইল ফটো
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লকডাউন মানেন না বলেই অভিযোগের সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আবারও কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন জারি করার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই আক্রমণের রেশ কাটতে না কাটতে আরও একবার ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তৃণমূল কর্মীরাও লকডাউন মানেন না বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে লকডাউন নিয়ে কড়াকড়ি কোথায় হয়েছে? সরকারের লোকেরা মানছে না। কিছু লোককে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে সংক্রমণ বেড়েছে। কঠোরভাবে লকডাউন হোক। যাঁরা না মানবেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সবটাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।”
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন স্লোগান তুলে শুক্রবার একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে টুইটারে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন। আবার মমতার সরকারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট কার্ড বানিয়েছেন মুকুল রায়। টুইটে কৈলাস বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল। আমফান, করোনা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেন্দ্র যখন বাংলাকে সাহায্য করতে চাইছে তখন বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। সবসময়, সবকিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজনীতি করা ঠিক নয়।” বিজেপির আর এক কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলায় দলের সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের অভিযোগ, করোনা মহামারী সংক্রমণের ফলে পশ্চিমবঙ্গের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই।
তৃণমূল সরকারের রিপোর্ট কার্ড বানিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা-শিল্প-মহিলা নিরাপত্তা ও সার্বিক উন্নয়নের ব্যর্থতাকে তুলে ধরেছেন মুকুল রায়। অপর দিকে সিন্ডিকেট, দুর্নীতি, রাজনৈতিক হিংসাতে রাজ্য সফল বলে টুইট মুকুলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও টুইট করেন। তিনি লেখেন, “৭০ লক্ষের বেশি বাংলার কৃষককে কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” করোনার জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। যদিও পালটা জবাবে এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.