রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জে পি নাড্ডার (J P Nadda) কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপি। কলকাতা ও জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। হামলার ঘটনার অভিযোগ জানাতে রাজভবনে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং।
বৃহস্পতিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করতে যাচ্ছিলেন জেপি নাড্ডা। সভাস্থল থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কুলপিতে পথ অবরোধ করেছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। হটুগঞ্জেও চলছিল তৃণমূলের অবরোধ বিক্ষোভ। এর জেরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল থমকে যায়। শিরাকোলে সবজির মালা ঝুলিয়ে মিছিল করছিলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সরিষাতেও রাস্তার ধারেই বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। উপস্থিত ছিলেন সোনালি গুহ-সহ তৃণমূল নেতারা। সেখান থেকেই জেপি নাড্ডার কনভয়ে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য।
প্রতিবাদে বিকেল ৪-৬ পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি (BJP)। ভিআইপি রোড অবরোধ করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় ব্যস্ততম এই সড়ক। অন্যদিকে, ডোরিনা ক্রসিংয়ে নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), সায়ন্তন বসুরা।
এসপ্ল্যানেডে প্রতিবাদে শামিল সাংসদ অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও চলছে বিক্ষোভ। হাওড়ায় জেলাশাসকদের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাড়াপোতায়ও টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। একইছবি উত্তরবঙ্গেও। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুপম হাজরা বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মাননীয় শ্রী জেপি নাড্ডা জি’র সভা শেষ করে একটু আগে বেরিয়ে এসেছিলাম, ফেরার সময়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আমার গাড়ি এবং আমার পাইলট ভাঙচুর করা হল। পাথরের টুকরো ছিটকে আশায় ব্যথা লাগল ঘাড়ে। এরপরই হুঙ্কার দিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “৬ মাস অপেক্ষা করুন, “উপহার” সুদ সমেত ফেরত পাবেন।”
নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি টুইটে লেখেন, “নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিন্দনীয়। এই হামলার কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্র এই হামলাকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে। পরিকল্পনামাফিক এই হামলার জবাব বাংলার মানুষকে দিতে হবে।” এছাড়া অমিত শাহ আরও বলেন, “তৃণমূলের শাসনকালে বাংলায় অত্যাচার-অরাজকতা-অন্ধকার যুগে চলে গিয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা চরম সীমায় পৌঁছেছে। গণতন্ত্রে যাঁরা বিশ্বাস করে তাঁদের কাছে এটা দুঃখের-চিন্তার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.