Advertisement
Advertisement
BJP

হেস্টিংস থেকে সাংগঠনিক দপ্তর সরিয়ে নিল BJP, ফিরছে সেই মুরলীধর সেন লেনে

পাঁচতলার অডিটোরিয়াম এবং ন'তলার ঘরগুলি অবশ্য রেখে দেওয়া হচ্ছে।

BJP shifts their organizational office from Hestings to Murlidhar Sen Street | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 30, 2021 6:41 pm
  • Updated:July 30, 2021 8:30 pm

রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: হেস্টিংস কার্যালয় (Hestings Office) থেকে সাংগঠনিক দপ্তর সরিয়ে নিল বিজেপি (BJP)। ভোটের পর থেকেই খরচ কমাতে চাইছিল দল। তখনই হেস্টিংস কার্যালয়ের একাংশ ছেড়ে দেওয়ার কথা শুরু হয়েছিল। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি রাজু সরকারের মৃত্যুর পর থেকেই হেস্টিংস দপ্তরের আটতলায় বিজেপির সাংগঠনিক কাজকর্ম থমকে গিয়েছিল। এ বার পাকাপাকি ভাবে ওই কার্যালয় সরিয়ে আনা হল দলের রাজ্য সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনে|

হেস্টিংস মোড়ের ওই বহুতলের পাঁচতলার অডিটোরিয়াম এবং ন’তলার ঘরগুলি অবশ্য রেখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেখান থেকে মূল সাংগঠনিক কাজকর্ম চলত, সেই আট তলা পুরোপুরি ছেড়ে দিল বিজেপি। সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী বা কোষাধ্যক্ষ সাবর ধনানিয়া কেউই আর হেস্টিংস মোড়ের বহুতলে বসবেন না বলে খবর| তাঁরা আবার পাকাপাকি ভাবে রাজ্য সদর দপ্তরেই বসা শুরু করছেন। যদিও রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা দু’ জায়গাতেই বসব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিডকোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা Firhad-এর, তৈরি হবে ‘গ্রিন সিটি’]

মূলত নির্বাচনী অভিযান পরিচালনার জন্যই হেস্টিংস মোড়ের আগরওয়াল হাউসের পাঁচটি তলা ভাড়া নিয়েছিল বিজেপি। মুরলীধর সেন লেনে দলের যে সদর দপ্তর, তা বহু পুরনো, বাড়িটিতে জায়গা কম। বাড়িটির খুব বেশি আধুনিকীকরণও সম্ভব নয়। নির্বাচনের সময়ে দলীয় দপ্তরে রোজ যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছিল, পুরনো পার্টি অফিসে তা সামাল দেওয়া যেত না। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা এবং সব রাজ্য নেতাদের, বিভিন্ন জোনের পর্যবেক্ষকদের জন্য যে আলাদা আলাদা ঘরের দরকার সে সময়ে ছিল, পুরনো অফিসে তাও দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই হেস্টিংসে নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়।

ভোট মিটে যাওয়ার পরেও হেস্টিংস অফিস প্রথমে বন্ধ করা হয়নি। নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য ছিল, ক্ষমতায় না এলেও দল বহরে অনেক বেড়েছে। তাই শুধুমাত্র রাজ্য সদর দপ্তর থেকে সব সামলানো সম্ভব নয়। নেতৃত্বের অন্য অংশের অবশ্য বক্তব্য ছিল, হেস্টিংস দপ্তরের আর কোনও প্রয়োজন নেই। অযথা অর্থের অপচয় না করে যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যকলাপ রাজ্য সদর দপ্তরে ফিরিয়ে আনা হোক।

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে Corona পরিস্থিতির উন্নতি নেই, এখনই উপনির্বাচনের দাবি কেন?’, কটাক্ষ শুভেন্দুর]

ভোটের সময়ে যে একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় নেতার জন্য অফিস দিতে হয়েছিল রাজ্যদপ্তরে, তাঁরা সব ফিরে যাওয়ায় রাজ্য সদর দপ্তরের বেশ কিছু ঘর খালি হয়ে গিয়েছিল। বাড়িটির কিছুটা আধুনিকীকরণের ফলে বেশ কয়েকটা নতুন ঘরও বেরিয়েছিল| তাই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীদের জন্য নতুন ঘরের ব্যবস্থা হয়েছিল মুরলীধর লেনে। সাধারণ সম্পাদকদের জন্য এবং সহ সভাপতিদের জন্যও ঘর নির্দিষ্ট করা হয়েছিল।

ন’তলায় আইটি সেল ও মিডিয়া সেলের অফিস, শুভেন্দু অধিকারী-সহ কয়েকজন নেতার ঘর এবং পাঁচতলার অডিটোরিয়াম বাদে বাকি সব অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আটকেই ছিল। রাজু সরকারের মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি বদলে গেল। আট তলার অফিস পুরোপুরি বন্ধ করে দিল বিজেপি। সাংগঠনিক কার্যকলাপের একটাই কেন্দ্র থাকবে, কোনও সমান্তরাল দপ্তর থাকবে না, সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল রাজ্য বিজেপি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement