রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রার্থী দিতে পারে বিজেপিও। এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। হার নিশ্চিত হলেও বিশেষ কারণে রাজ্যসভায় প্রার্থী দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যদিও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি BJP’র রাজ্য নেতারা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রার্থী দেওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের অবস্থানটা স্পষ্ট করা। মুকুল রায় ভোটাভুটিতে কী অবস্থান নেন, সেটা জানতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, মুকুল (Mukul Roy) যদি হুইপ অমান্য করে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেন, সেক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সরব হওয়ায় সুযোগ থাকছে। আসলে রাজ্যসভার নির্বাচনে দলীয় বিধায়কদের হুইপ জারি করা যায়। কোনও বিধায়ক সেই হুইপ না মানলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়কপদ বাতিল করার আবেদন জানানো যায়। সেকারণেই প্রার্থী দিতে চায় গেরুয়া শিবির। প্রার্থী দেওয়ার পিছনে আরেকটি কারণ, একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে না ছাড়া। এই মুহূর্তে রাজ্যসভার নির্বাচনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাক, চাইছে না গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্যসভায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।
এদিকে, দীনেশ ত্রিবেদীর আসনে তৃণমূল প্রার্থী করছে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকারকে। জহরবাবু (Jawhar Sircar) একটা সময় কাজ করেছেন প্রসার ভারতীর সিইও হিসাবে। মোদি সরকারের প্রবল সমালোচক হিসাবে পরিচিত তিনি। ২০১৬ সালে মোদি সরকারের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ার দরুনই প্রসার ভারতীর CEO পদ থেকে অবসর নেন প্রাক্তন এই IAS অফিসার। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার লেখালেখি, সব ক্ষেত্রেই প্রবল মোদি বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত জহরবাবু। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যারা যত কেন্দ্র বিরোধী কথা বলবে, তারা তত তৃণমূলের কাছে ভাল হবে। যদিও তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে, সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.