রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কৃষকদের৷ এই অধিকার অর্জনের জন্য প্রাণপণ লড়াই চালাবে বিজেপি৷ মঙ্গলবার কিষাণ মোর্চার ডাকে বিধানসভা অভিযানে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে৷’
[বিদেশ ভ্রমণের নামে আর্থিক প্রতারণা, পুলিশের দ্বারস্থ প্রতারিত]
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় বিজেপির কৃষক মোর্চা৷ যাতে পা মেলান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কিষাণ মোর্চার সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব৷ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ভ্রান্ত নীতিতে কৃষকরা অসুবিধার মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা৷ এদিন রাজ্য বিজেপি দপ্তর থেকে শুরু করে ধর্মতলা হয়ে রানি রাসমণি রোডে শেষ হয় কিষাণ মোর্চার এই বিক্ষোভ মিছিল৷ সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা৷ ভাঙার চেষ্টা করেন ব্যারিকেড৷ কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি উত্তপ্ত পরিস্থিতি৷ মিছিলের মোকাবিলা করতে প্রথম থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ৷ শীর্ষ আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয় রানি রাসমণি রোডে৷ প্রথমে ব্যারিকেড ও তারপর গার্ডরেলের ব্যবস্থা করা হয়৷ নিয়োগ করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী৷ মিছিল শেষে বিজেপি নেতারা বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে চান৷ কিন্তু আগাম অনুমতি না থাকায় তাঁদের বিধানসভায় যেতে দেননি পুলিশ আধিকারিকরা৷
[রাজ্যে এখন সবাই খেতে পায়, শবর মৃত্যুতে অনাহারের তত্ত্ব খারিজ মুখ্যমন্ত্রীর]
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে জমি শক্ত করতে এবং কৃষকদরদি ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই বিজেপির এই বিধানসভা অভিযান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বিধানসভার চলছে শীতকালীন অধিবেশন৷ সে কারণেই এই সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর৷ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে প্রায় ২০টি আসনকে টার্গেট করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ সেই লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ সেজন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে রথযাত্রা কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি৷ কোচবিহার, সাগর ও তারাপীঠ থেকে শুরু হবে রথযাত্রা৷ উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল৷ বিজেপি সূত্রে খবর, ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ এরপরই আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে বড় জনসভার কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির এই পরপর কর্মসূচি থেকেই স্পষ্ট যে, লোকসভার আগে মমতা সরকারকে চাপে রাখাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.