রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার সুলেখা মোড়ে। বাঘাযতীন মোড়ে পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকে দেয়। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক বিজেপি কর্মী জখম হন। মিছিল এগোতে না দেওয়ায় যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বসে পড়েন। সোমবার দুপুরে এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। নিত্যযাত্রীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন।
রবিবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদে ও নাগরিকত্ব আইন পাসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন জানাতে ২৩ ডিসেম্বর কলকাতায় দলের রাজ্য দফতর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হবে। মিছিলে লক্ষাধিক লোকের জমায়েত হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে ও কেন্দ্র সরকারকে অভিনন্দন জানাতে সোমবার গড়িয়া থেকে মিছিল করেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা ও দক্ষিণ কলকাতা জেলা শহরতলী বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের গন্তব্য ছিল যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু বাঘাযতীনের কাছে সেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়।
এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি নেতারা। মিছিলে উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গেও ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। সেসময় এক বিজেপি কর্মীর মাথায় আঘাত লাগে। পরে সুলেখা মোড়ে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এদিনের মিছিলে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা, অভিনেত্রী শর্বরী মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতা শহরতলীর জেলার সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। বিজেপি নেতা অনুপম অভিযোগ করেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। পুলিশ গায়ের জোরে মিছিল আটকে দেয়। এরপর যে কোনও পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “এই যে কয়েকদিন ধরে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তাণ্ডব চালাল, তার বিরুদ্ধে তো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার। তাহলে আমাদের কেন আটকানো হল?”
এদিকে মিছিলের জেরে যাদবপুরের সুলেখা মোড় এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। চারিদিকে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। ভোগান্তির শিকার হন বাড়ি ফেরত স্কুল পড়ুয়ারাও। স্কুলবাসগুলি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে হয়। একই পরিস্থিতির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। দক্ষিণ কলকাতায় যান চলাচল কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.