ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কবিতা আর রাজনীতি কতটা জড়িত অথবা উভয়ের মধ্যে চাপা বিরোধ কতটা, তা তো বিতর্ক সাপেক্ষ। তবে রাজনীতিবিদরা অনেকেই কবিতার গুণগ্রাহী। আবার উলটোভাবেও বলা যায়, অনেক কবিতার গর্ভে অনুক্ত রাজনৈতিক বার্তা আসলে কবিরই রাজনৈতিক মতামত বা সমর্থন বলে মনে করা হয়। সে যাই হোক, কবির হাতে রাজনীতিকের চড় খাওয়ার ঘটনা খানিকটা বিরল। আর সেই স্মরণীয় ঘটনার কথা শোনালেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা রাজ্যসভার প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। কলেজ জীবনে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের (Shakti Chattopadhyay) হাতে চড় খেয়েছিলেন শমীক। রাজ্যসভার মনোনয়ন পেশ করে সেই গল্প শোনালেন তিনি।
শমীক তখন কলেজ ছাত্র। আর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের খ্যাতি তখন বাংলা সাহিত্য জগতে মধ্যগগনে। শক্তির কবিতা গুণগ্রাহী ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। খুব ইচ্ছে ছিল, কবির সঙ্গে আলাপ করার। এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আলাপও হয়। শুধু আলাপ নয়, উভয়ের ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। কবির সঙ্গে নানা জায়গায় যেতেন শমীক ভট্টাচার্য। তেমনই একটা দিন দুজনের ট্যাক্সি করে বেলেঘাটা ক্রসিং দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানেই ঘটে যায় ঘটনাটা। কবির হাতে বেমক্কা চড় খেয়ে যান বিজেপি নেতা!
আসলে একঝলকে শুনে চড় (Slap) খাওয়ার ঘটনাটি গুরুতর মনে হলেও বিষয়টি তেমন কিছুই নয়। শমীক জানান, ওইদিন দুজনে ট্যাক্সিতে যেতে যেতে কবিতা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তা প্রায় বিতর্কে পৌঁছয়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সপাটে একটি চড় কষান শমীকের গালে! হতভম্ব হয়ে যান শমীক। শক্তিও এক মুহূর্তের জন্য অন্যরকম হয়ে পড়েন। সম্বিত হারিয়ে ফেলেন। ট্যাক্সিচালকও তা দেখে অবাক হয়ে ট্যাক্সি থামিয়ে দেন। দু, এক মুহূর্ত পর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশ ফেরে। বুঝতে পারেন, কী করে ফেলেছেন। পরে অবশ্য দুজনে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেন। তবে শমীকের কথায়, উনি মোটেই ইচ্ছে করে চড় মারবেন বলেই তা করেননি। নেহাতই উত্তেজনার বশে তা করে ফেলেছেন। তবে এই ঘটনার পরও উভয়ের সম্পর্কে চিড় ধরেনি একবিন্দুও। তাও জানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.