রাহুল চক্রবর্তী: লোকসভার পর একই ছবি বিধানসভাতেও। নিয়ম ভেঙে এবার বিধানসভায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুললেন বিজেপির বিধায়করা। পালটা ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি তোলেন তৃণমূলের বিধায়ক। দু’পক্ষের স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। এদিনের ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে উপনির্বাচনও হয়েছে। তাতে বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির চারজন।ফলত, এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়। এমনকী, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, দলবদল করে বিধায়করা গেরুয়া শিবিরে শামিল হচ্ছেন। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল থেকে একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আরও অনেকেই আসবেন বলে দাবি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু যে সমস্ত বিধায়ক দল ছেড়েছেন, তাঁরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।
বুধবার বিধানসভায় নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। বিধানসভার ভিতরে কী কী অনুচিত সে বিষয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। সেসবকে তোয়াক্কা না করেই এদিন শপথবাক্য পাঠ করার পর হঠাৎই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলেন হবিবপুরের বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। তাঁকে সমর্থন করে স্লোগান তোলের বিজেপির বাকি বিধায়করাও। বিধানসভার ভিতর স্লোগান তোলায় ঘটনার প্রতিবাদ জানান তৃণমূল বিধায়করা।
ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নিয়মেই স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনও বিধায়ক অধিবেশন কক্ষে স্লোগান দিতে পারবেন না। পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো, কাগজ ছিঁড়ে ফেলা যাবে না। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লিখিত আছে।” এরপর হঠাৎই বিজেপির স্লোগানের পালটা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান তোলেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিধায়করা বারবার একই কাজ করায় ক্ষুব্ধ হন স্পিকার। তাঁদের তিরস্কার করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জোয়েল মুর্মু বলেন, “ইচ্ছাকৃত কিছু বলিনি। অকস্মাৎ বলে ফেলেছি। এটা উচিৎ হয়নি।আমার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে জয় শ্রীরাম ধ্বনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.